উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলাদের শরীরের গঠন নিয়ে করা মন্তব্যও যৌন হেনস্তা (Sexual Harassment) বলে গণ্য হতে পারে। বুধবার এক মামলার শুনানিতে এই কথা জানিয়েছে কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মহিলাদের শরীরের গঠন নিয়ে মন্তব্য করা আদতে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ। ফলে সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনা যেতেই পারে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে আইনজীবী মহল। এদিন যে মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট অবস্থান জানিয়েছে সেটি কেরল রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের এক মহিলা কর্মীর দায়ের করা।
মহিলার অভিযোগ, দপ্তরের এক পুরুষ সহকর্মী তাঁর শারীরিক গঠন নিয়ে ২০১৩ থেকে মন্তব্য করছেন। ২০১৬ থেকে তিনি অভিযোগকারিণীকে আপত্তিকর মেসেজ ও ভয়েস কল করতে থাকেন। অস্বস্তি বাড়তে থাকায় দপ্তর এমনকি পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু কোনও তরফে সুরাহা না মেলায় অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি এ বদরুদ্দিনের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল অভিযোগকারিণীর শারীরিক গঠনের প্রশংসা করেছেন মাত্র। তাঁকে অপমান করার কোনও উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর পালটা দাবি, মহিলাকে হেনস্তার উদ্দেশেই এই ধরনের মন্তব্য করেছেন অভিযুক্ত। এসএমএস ও ভয়েল কলগুলি থেকে সেটা বোঝা যাচ্ছে। দু-পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর অভিযোগকারিণীর পক্ষে রায় দিয়েছে আদালত।