খড়িবাড়ি: খড়িবাড়ির বিন্নাবাড়িতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে। একমাস যেতে না যেতেই বিজেপি থেকে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলবদলু প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন তৃণমূলেরই কিছু পঞ্চায়েত সদস্য। মঙ্গলবার তাঁরা অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি দিলেন খড়িবাড়ি বিডিওকে। এই ঘটনায় বিজেপির মদত রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষের।
একনায়কতন্ত্র কায়েম করে প্রশাসন চালাচ্ছে প্রধান। প্রধানকে সরাতে এবার অনাস্থা আনল তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা। খড়িবাড়ির বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান আলাকসু লাকড়াকে সরাতেই বিডিওকে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যরা। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ২০২২ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত ১৩টি আসনের মধ্যে ৯টি আসন পায় তৃণমূল, বাকি ৪টি দখলে যায় বিজেপি। তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও প্রধান পদের জন্য তপশিলি উপজাতির পদ সংরক্ষণ থাকায় বিজেপির প্রধান হন আলাকসু। ২০২৫ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধান আলাকসু দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু এক মাস কাটতে না কাটতেই প্রধানকে সরাতে অনাস্থা আনল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরাই। অনাস্থার আবেদন বিডিও জমা দিয়ে বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে বিক্রম গণেশ ও সোমা ঘোষরা বলেন, একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন আলাকসু লাকড়া, তাই এই অনাস্থা।
এদিকে অনাস্থা আসতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির প্ররোচনা রয়েছে টেলিফোনে মত তৃণমূল জেলা সভানেত্রীর পাপিয়া ঘোষের। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে সমস্যা মিটবে।’
এনিয়ে পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির। বিজেপির ন্যাশনাল কাউন্সিল মেম্বার গণেশ দেবনাথ বলেন, ‘নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের এই ফল। যিনি প্রধান হবেন তিনি বিজেপির জয়ী প্রার্থী হবেন।’
অন্যদিকে খড়িবাড়ির বিডিও দীপ্তি সাউ বলেন, ‘অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি পেয়েছি। পঞ্চায়েত নিয়ম মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’