উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন পর্যন্ত মনে করা হত ডায়াবিটিস থাকলে কিডনির সমস্যা (Kidney Problem) হয়, যেমন ডায়াবিটিস নেপ্রোপ্যাথি। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে বা দীর্ঘদিন ধরে কোনও কিডনির অসুখ চললে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। লিখেছেন সিনিয়ার সুপারস্পেশালিস্ট হোমিওপ্যাথ ডাঃ প্রকাশ মল্লিক
আমাদের শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ অপসারণের কাজ করে কিডনি। প্রস্রাবের মাধ্যমে দূষিত পদার্থ ছেঁকে বের করে দেয় কিডনি। একইভাবে রক্ত থেকে ইউরিয়াকে বের করার কাজও করে কিডনি। কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার অর্থ, রক্তে ইউরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। ফলে শরীর অতিরিক্ত ইনসুলিনবিরোধী হয়ে পড়ে এবং রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়তে থাকে।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গবেষক জিয়াদ আল আলের মতামত এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেছেন, ‘আগে আমরা জানতাম কিডনির রোগ বা কিডনি অকেজো হওয়ার পিছনে একটি বড় কারণ ডায়াবিটিস। তবে এখন সিদ্ধান্তে এসেছি যে, শরীরে ইউরিয়ার পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কিডনিজনিত সমস্যা হলে ইউরিয়ার মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ইনসুলিন নিঃসরণের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা বাড়ে।’
এক্ষেত্রে প্রতিরোধের উপায় হিসেবে বলা যায়, নির্দিষ্ট ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করে ও ডায়েটচার্টে বেশ কিছু পরিবর্তন করে রক্তে ইউরিয়ার পরিমাণ কমানো সম্ভব। এজন্য মাছ, মাংস বিশেষত রেডমিট, রাজমা, ডাল অর্থাৎ প্রোটিন জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। এতে রোগী যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকিও অনেকটা আটকানো সম্ভব।