উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ২৪ বছর বয়সি সাউথ কোরিয়ান অভিনেত্রী কিম সে রন(Kim Sae-ron)-এর মৃতদেহ উদ্ধার হল সিওলে, তাঁর নিজস্ব বাসভবন থেকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন এই অভিনেত্রী। সূত্রের খবর, একটি নতুন সিনেমার মাধ্যমে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করছিলেন এই অভিনেত্রী। নিজের নাম পরিবর্তন করারও নাকি পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। এমত অবস্থায় তাঁর মৃত্যুর খবরকে ‘অপ্রত্যাশিত’ বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রীর ঘনিষ্ট মহল।
সূত্রের খবর, অভিনেত্রীর ঘনিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে যে, কিম অভিনয় জগতে প্রত্যাবর্তনের জন্য মুখিয়ে ছিলেন। ‘গিটার ম্যান’(Guitar Man) নামের একটি সিনেমার মাধ্যমেই এই প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। এছাড়াও একটি ক্যাফে খোলার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর। এই আবহে অভিনেত্রীর আত্মহত্যার খবর কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বলেই জানিয়েছেন জনৈক ওই ব্যক্তি।
তিনি বলেন, “আমরা কখনও কল্পনাও করিনি এটা ঘটবে। সে বলেছিল ‘গিটার ম্যান’ চলচ্চিত্রে কামব্যাক করার পর সে আবার অভিনয় করে অর্থ উপার্জন করবে। সে একটি ক্যাফে খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, পাশাপাশি বিনোদন শিল্পে ফেরার প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না।” প্রসঙ্গত, কিম এই ‘গিটার ম্যান’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছিলেন গত বছর নভেম্বরে। এই মুহূর্তে ছবিটির পোষ্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে।
কিম চলচিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ২০০৯ সালে। ২০১০ সালে ‘দ্য ম্যান ফ্রম নো হোয়ার’ সিনেমায় কিমের অভিনয় নজর কেড়েছিল দর্শকদের। এই চরিত্রের জন্য কোরিয়ান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস-এর মঞ্চে ‘নবাগতা অভিনেত্রী’ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ছবিতে তাঁর করা অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে সিনেমা অনুরাগীদের। কিন্তু ২০২২ সালে হওয়া একটি গাড়ি দুর্ঘটনার পর থেকেই কার্যত লাইমলাইটের একটু আড়ালে চলে গিয়েছিলেন তিনি। এই দুর্ঘটনার দরুন সিওলের গাংনাম(Gangnam) এলাকার বেশ কয়েকটি ল্যাম্পপোস্ট এবং গার্ডরেলে গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মেরেছিলেন তিনি। এই ঘটনার জন্য ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে তাঁকে ২০ মিলিয়ন ওন(কোরিয়ান মুদ্রা) জরিমানাও করা হয়। এই ঘটনার পর থেকেই নতুন কাজ পেতে তাঁর সমস্যা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। গত বছর ‘ডংছিমি’(Dongchimi) নামের একটি প্লে-র মাধ্যমে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করলেও শেষ মুহুর্তে শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই প্রজেক্ট থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।