কিশনগঞ্জ: চাকরির টোপ দিয়ে কিশনগঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছিল রায়গঞ্জের এক কিশোরীকে। মেয়েটিকে এনে দেহ ব্যবসায় নামানোর পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীর। কিন্তু বুদ্ধির জোরে বেঁচে গেল কিশোরী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কিশনগঞ্জ জেলার বাহাদুরগঞ্জ এলাকায়। পুলিশ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গিয়েছে, চাকরির টোপ দিয়ে রায়গঞ্জের এক কিশোরীকে কিশনগঞ্জ জেলার বাহাদুরগঞ্জ এলাকায় নিয়ে এসেছিলেন সমস্তিপুরের বাসিন্দা মহম্মদ তহসিম কৌশর ওরফে বাহুবলী নামে এক যুবক। সে বাইকে চাপিয়ে কিশোরীকে রায়গঞ্জ থেকে বাহাদুরগঞ্জের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এনে একটি ভাড়াবাড়িতে তোলে। এইদিন রাতেই মেয়েটিকে দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টা করে বাহুবলী। চাকরি করতে এসে যে সে ফাঁদে পড়েছে বুঝতে অসুবিধে হয়নি মেয়েটির। পাচারকারীরা বুঝে ওঠার আগেই বুদ্ধিমত্তার জোরে সে কোনওভাবে বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। বেশ কিছুটা পথ দৌড়ে পৌঁছায় এলআরপি চকে। সেখানে সে স্থানীয়দের সবটাই জানায়। স্থানীয়রাই খবর দেন বাহাদুরগঞ্জ থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাহাদুরগঞ্জ থানার আইসি নিশাকান্ত।
এরপরেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। অন্যদিকে, পুলিশের একটি বাহিনী হানা দেয় পাচারকারীদের ডেরায়। সেখানে হানা দিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে পাচারকারী বাহুবলীকে।
মঙ্গলবার ধৃতকে তোলা হয় কিশনগঞ্জ আদালতে। বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।