কিশনগঞ্জঃ স্কুলের রাস্তায় জোর করে বাইকে তুলে ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা। অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন এক বিজেপি নেতা। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে কিশনগঞ্জের এমজিএম মেডিকেল কলেজের রাস্তায়। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করছিল অভিযুক্তরা। এরা প্রত্যেকেই একটি নামী বেসরকারি ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী। এদিনের ঘটনায় এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হলেও আরও অভিযুক্ত দুই ছাত্র পলাতক। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল একটি নামী বেসরকারি ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের এক ছাত্রী। সেই সময় এমজিএম মেডিকেল কলেজের রাস্তায় ছাত্রীর পথ আটকায় তিন নাবালক। একটি বাইকে জোর করে তুলে অপহরণের চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। সেই সময় বিষয়টি নজরে আসে বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুশান্ত গোপের। তিনিই অভিযুক্তদের হাত থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করে ঘটনাস্থলে থাকা এক নাবালককে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে। ধৃতও নামী এক বেসরকারী স্কুলের ছাত্র।
এদিকে অভিযুক্তের মোবাইল ঘাটতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পুলিশের। দেখা যায় ধৃতদের মোবাইলে একাধিক মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অশ্লীল গোপন ভিডিও রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা প্রথমে মেয়েদের ফুঁসলে প্রেমের অভিনয় করে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করত। পরবর্তীতে সেইসব ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে মেয়েদের থেকে টাকা আদায় ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করত।
শনিবার ধৃতকে তোলা হয়েছিল কিশনগঞ্জের জুভেনাইল আদালতে। আদালতের নির্দেশে তাকে আরারিয়ার বাল সুধার কেন্দ্রে পুলিশ পাঠিয়েছে। এছাড়া পলাতক দুই নাবালককে ধরতে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ।