উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মাত্র ৩৫ দিনে ৪৭টি এফআইআর! এই এফআইআর দায়ের হয়েছে নন্দীগ্রাম থানায়। অভিযোগগুলোও প্রায় একই রকম। আর এই অস্বাভাবিক বিষয়টি নিয়েই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। নন্দীগ্রাম থানার মামলা নিয়ে কার্যত সন্দেহ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মঙ্গলবার এফআইআরগুলিতে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, সব মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একই পর্যবেক্ষণ আদালতেরও। পুলিশকে আদালতের নির্দেশ আপাতত মামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।
কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘৩৫ দিনে ৪৭টি এফআইআরের প্রায় সব অভিযোগ একইরকম ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। একই থানায় এত কম সময়ে এত মামলা যথেষ্টই সন্দেহের। এই তদন্ত চলবে কি না, সেটা স্থির হবে এই মামলার ভবিষ্যতের উপরে।’ এদিন বিচারপতি সিনহা, সব পক্ষকে হলফনামা দিতে বলেছেন। তিন সপ্তাহ পরে ফের মামলা শুনবে আদালত।
মামলাকারীর আইনজীবী পিএস পাটওয়ালিয়া উল্লেখ করেন, মামলাকারীদের বাইরেও যাকে মনে হবে তাকেই এইসব মামলায় টার্গেট করার সুযোগ রেখে দিয়েছে পুলিশ। এদিকে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, ৪৭টি মামলারই তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের কোনও যোগ না পাওয়া গেলে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
এদিকে, বিজেপির দাবি, শুধুমাত্র নন্দীগ্রামে নয়, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের প্রতিটি থানায়। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিরোধী দলের কর্মীদের নিশানা করা হচ্ছে। বিজেপি কর্মী দেখলেই মিথ্যা মামলা করা হয়। শুধুমাত্র নন্দীগ্রামে নয়, একাধিক থানায় এই একই ছবি। আদালত দৃষ্টান্তমূলক রায় দিলে যদি কিছু হয়, নাহলে বারবার আমাদের আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে।