উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধিন এসএসসি ২৬ হাজার বাতিল সংক্রান্ত মামলা। তাই এসএসসি চাকরি বাতিল সংক্রান্ত আদালত অবমাননার মামলার আবেদন গ্রহণ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন ওই মামলা খারিজ করে দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বাক রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।
গত ৩ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর। বাতিল হয়ে যায় ২০১৬ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ার (Recruitment) পুরো প্যানেল। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত এসএসসিকে নির্দেশ দেয় অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে। এরপরই পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছিল, নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এবং চলতি শিক্ষাবর্ষ শেষ না হওয়া পর্যন্ত, অযোগ্য বলে চিহ্নিত না হওয়া শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হোক। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সেই দিন পর্যন্ত চাকরি বাতিল হওয়া যোগ্য শিক্ষকরা চাকরিতে যেতে পারবেন বলেও নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যা যা নির্দেশ দিয়েছিল, সেগুলি কেন কার্যকর করা হচ্ছে না, এই প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। মামলাকারীদের দাবি ছিল, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও পদক্ষেপ করেনি এসএসসি বা স্কুল শিক্ষা দপ্তর। তার প্রেক্ষিতে এক দিনের মধ্যে এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এর আগে শুনানিতে বিচারপতি বসাক আদালতের নির্দেশ মেনে ‘দাগি’ শিক্ষকদের বেতন ফেরত-সহ দাগি এবং অযোগ্যদের ওএমআর প্রকাশের কথা বলেন। পরের শুনানিতে রাজ্যের তরফে নতুন বক্তব্য রাখার আর্জি জানানো হয়। নতুন আইনি যুক্তি পেশ করার জন্য রাজ্যকে সময় দেয় দুই বিচারপতির বেঞ্চ। দিন ওই মামলা খারিজ করে দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বাক রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। এরফলে সাময়িক স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার।