রায়গঞ্জ: রাজ্য সরকারের বন দপ্তরের তরফে জারি হওয়া নির্দেশিকায় তুলে নেওয়া হল কুলিকের প্রবেশমূল্য। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের কুলিকে গিয়ে দেখা গেল, পাখিরালয়ের মূল ফটকে প্রবেশমূল্য উঠে যাওয়ার নির্দেশিকা ঝোলানো হয়েছে।
রায়গঞ্জ বন আধিকারিক ভূপেন বিশ্বকর্মা বলেন, ‘করোনা পরবর্তী পর্যায়ে বন দপ্তরের নির্দেশিকা মেনে কুলিকের প্রবেশমূল্য করা হয় জনপ্রতি ১২০ টাকা। এছাড়াও ক্যামেরার জন্য অতিরিক্ত ৪০ টাকা করে নেওয়া হত। বন দপ্তরের পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত এখন কুলিকে বিনামূল্যেই প্রবেশ করা যাবে।’
এদিকে এমন সরকারি সিদ্ধান্তে বন বস্তিগুলোর উন্নয়ন ব্যাহত হবে বলে জানান রায়গঞ্জের পরিবেশকর্মী ত্রিদীপ্ত ঘোষ। তিনি বলেন, ‘প্রবেশ মূল্যের একটা বড় অংশ বন বস্তি উন্নয়নে খরচ হত। এই অর্থ সাহায্যেই বন বস্তির বাসিন্দাদের হাতে সেলাই মেশিন, জেরক্স সেন্টার, কৃষি যন্ত্রপাতি তুলে দেওয়া হত। পাশাপাশি গভীর অরণ্যে সাধারণ মানুষের অকারণ ভিড় বাড়বে। এতে অরণ্য ও বন্যপ্রাণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
পাশাপাশি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে খুশি পর্যটক থেকে স্থানীয় দোকানদাররা। রচিত শর্মা নামে এক পর্যটকের কথায়, ‘কুলিক পুরোটাই পরিযায়ী পাখিকেন্দ্রিক। সারাবছর পাখি থাকেও না। তা সত্ত্বেও ১২০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ঢুকতে হত। প্রবেশ মূল্য উঠিয়ে নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ।’
বুধবার আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক সভায় বক্সা জয়ন্তীতে প্রবেশ মূল্য তুলে নেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এন্ট্রি ফি নিয়ে বন দপ্তরের সিদ্ধান্তেও বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। তারপরেই তৎপরতার সঙ্গে নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করে বন দপ্তর।