বিশ্বজিৎ প্রামাণিক, কুমারগঞ্জ: কুমারগঞ্জ ব্লকের সমজিয়া পঞ্চায়েতের বনতাড়া এলাকার শ্মশানটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। শ্মশানটি কাঁটাতারের ওপারে আত্রেয়ী নদীর তীরে জিরো পয়েন্টে। দিনে তো কড়াকড়ি আছে, বেশি কড়াকড়ি রাতে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় বিএসএফ প্রায়ই গেট খুলতে গড়িমসি করে। সন্ধ্যায় অথবা সন্ধ্যার পর কাউকে দাহ করতে বনতাড়া শ্মশানে নিয়ে যাওয়া বেশ ঝক্কির। বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে তিন কিলোমিটার দূরে বৈদ্যনাথ শ্মশানে দাহ করতে যান অথবা পরদিন সকাল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। বর্ষায় সমস্যা আরও গুরুতর রূপ নেয়। কারণ, বনতাড়া শ্মশানের বিশ্রামাগারটি বেহাল হওয়ায় সেখানে কেউ আশ্রয় নিতে পারে না। ফলে বনতাড়া ফকিরগঞ্জ, দাউদপুর, মোল্লাদিঘি, পলাশী, বাসন্তী, দেউন, কুতুবপুর, বরইট সহ প্রায় আট থেকে দশ হাজার মানুষের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সনাতন রায় জানান, ‘রাতে বিএসএফ গেট বন্ধ করে রাখায় আমাদের অনেক কষ্টে তিন কিলোমিটার দূরের বৈদ্যনাথ শ্মশানে যেতে হয়’ আরও এক বাসিন্দা সোম বর্মন বলেন, ‘রাত দশটার পরে শবদাহের জন্য আমরা বৈদ্যনাথ শ্মশানে গেলে পরদিন দিনের আলো ফোটার জন্য অপেক্ষা করি।’
এই বিষয়ে কুমারগঞ্জের বিডিও শ্রীবাস বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’
বাসিন্দাদের আশা, প্রশাসন ও সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সমন্বয়ে শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।