কুমারগঞ্জ: বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন, মিড-ডে মিল এবং শিশুদের নিরাপত্তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার কুমারগঞ্জ (Kumarganj) উত্তরচক্রের বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন (School Inspection) করলেন সন্তোষ হাঁসদা।
কুশমুণ্ডি ব্লকের (Kushmandi Block) একটি হাইস্কুলের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। যদিও চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা জানিয়েছেন, এটা তাঁর রুটিন ভিজিট। অভিযোগ, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ১১টা ৪৫ মিনিটে এলেও হাজিরা খাতায় ১১টা লিখে সই করছেন। কেউ তারও পরে এসে ১১টা লিখছেন। এমতাবস্থায় বর্ষার সময়ে স্কুলগুলোর পরিস্থিতি এবং ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিজে খতিয়ে দেখছেন। পাশাপাশি মিড-ডে মিল এবং পঠনপাঠন কেমন চলছে তারও নজরদারি চালালেন। এমনকি ক্লাসও নিলেন।
বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার বাড়াতে আনন্দ পরিসর এবং কমিউনিটি মোবিলাইজেশন প্রোগ্রামের উপর জোর দিতে বললেন তিনি। এদিন ১১টা থেকে কুমারগঞ্জ ব্লকের চকরামরায়, নাককাটি, ধাদলপাড়া, বালুপাড়া, গোপালগঞ্জ প্রাইমারি স্কুল সহ বিভিন্ন স্কুলে রুটিন ভিজিট করলেন। চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা বলেন, ‘এটা রুটিন ভিজিট। প্রায়দিন জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে এই ভিজিট করি। পাঠদান, মিড-ডে মিল এবং ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সুবিধা ও অসুবিধাগুলো নিজে গিয়ে দেখার চেষ্টা করি। তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকারা অ্যারাইভাল ও ডিপার্টচার সময় অনুযায়ী করছেন না। একজন মানুষ প্রতিদিন ১১টায় ঢুকছেন আর ৪টায় বেরোচ্ছেন এটা কীভাবে সম্ভব?’