কুমারগঞ্জ: মাদ্রাসার এক ছাত্রকে শিকল বেঁধে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করল তারই এক সহপাঠী ও তার এক আত্মীয়। এমনই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জের পূর্ব দাউদপুরে। সমজিয়ার হাফিজিয়া নিজামিয়া ফাইজালুন উলুম মাদ্রাসার ছাত্র সে। চোদ্দ বছরের এই ছাত্রকে শিকল দিয়ে বেঁধে মুখে গামছা ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে পূর্ব দাউদপুর এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার ডাঙ্গারহাট জয়দেবপুর হাঁড়িপুকুর নামক জঙ্গলের কাছে ঐ মাদ্রাসা ছাত্রকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সেখানে ডেকে নিয়ে যায় তার এক সহপাঠী ও তার মামা আকরাম মোল্লা। সেখানে ডেকে নিয়ে গিয়ে কিশোরকে জাপটে ধরে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে ফেলা হয় এবং লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। প্রাণে বাঁচার জন্য কিশোর চিৎকার শুরু করলে তার মুখের ভেতরে গামছা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত কিশোরকে উদ্ধার করে কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। তার শরীরের একাধিক জায়গায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এই ঘটনার পর কিশোরের বাবা কোরবান মোল্লা কুমারগঞ্জ থানায় দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘ছেলেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে মুখে গামছা ঢুকিয়ে প্রচন্ড মারা হয়েছে। আরেকটু দেরি হলেই মেরে ফেলত ওরা। ছেলে আতঙ্কে খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।’
কুমারগঞ্জ থানার আইসি রামপ্রসাদ চাকলাদার জানিয়েছেন, ‘ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।’ ঐ মাদ্রাসার আলেম মাহিনুর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আজ জানলাম। অভিযুক্ত মোস্তাক মোল্লা বহুদিন ধরেই মাদ্রাসায় আসে না। আর আক্রান্ত ছাত্র মেহেবুব মুর্শিদ মোল্লা একমাস ধরে ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়েছিল। ঘটনাটি বাইরে ঘটেছে তাই আমাদের এই বিষয়ে কিছু করণীয় নেই।’