উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে হিংসার (Murshidabad Violence) দায় বিএসএফ ও বহিরাগতদের উপর চাপালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। রবিবার কুণাল এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, সীমান্ত দিয়ে হামলাকারীদের ঢুকিয়ে বিএসএফই অশান্তিতে মদত দিয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁর দাবি, কোনও রাজনৈতিক দলের অংশ কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাকে বদনাম করতে অশান্তি পাকাচ্ছে। সমগ্র বিষয়টা প্রকাশ্যে আনতে সাংবাদিক বৈঠক থেকে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা।
গত মঙ্গলবার থেকে দফায় দফায় জ্বলছে মুর্শিদাবাদ। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে জঙ্গিপুরে বিক্ষোভ থেকে প্রথমে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। এরপর সুতি, ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জে অশান্তি ছড়ায়। হাজার হাজার উন্মত্ত জনতা, স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘর, দোকান, যাত্রীবাহী গাড়ি, পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। হত্যা করা হয় ৩ জনকে। শনিবার ধুলিয়ানের অবস্থা কার্যত যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তখন কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসু চৌধুরির বেঞ্চের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি। আদালত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়ে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুঁণাল ঘোষ সেই বিএসএফকেই এই অশান্তির পেছনে কাঠগড়ায় তোলায় প্রশ্ন উঠেছে।
কেন বিএসএফকে (BSF) কাঠগড়ায় তুলছেন তারও ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন কুণাল। তিনি রবিবার বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ, মিটিং, মিছিল হতেই পারে। কিন্তু বাংলাকে বদনাম করার জন্য ইচ্ছাকৃত গন্ডগোল করানো হয়েছে। যে মুখগুলো গন্ডগোল করেছে, তাদের মূল পান্ডাদের এলাকার মানুষ চিনতে পারছে না। ’ তাঁর দাবি, একটা গোপন ব্লু প্রিন্টের মাধ্যমে বিএসএফের একাংশকে কাজে লাগিয়ে দুষ্কৃতীদের ঢোকানো হয়েছিল, গন্ডগোল করিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ আবার প্রত্যাশিতভাবেই বিজেপিকেও (BJP) এর পেছনে দায়ি করেছেন তৃণমূল নেতা। তাঁর বক্তব্য, ‘এই প্ররোচনায় পা দেবেন না। এটা বিজেপি-র এজেন্ডা। আমরা তদন্ত দাবি করছি, এই অভিযোগ ঠিক কিনা। এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র।’ তবে তৃণমূলের দাবি, পুলিশ ও প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি (Director General) রাজীব কুমারও (Rajib Kumar) এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শনের পর জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে’।