উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে বিবৃতি প্রকাশ করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কুণাল ঘোষকে সরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার বিকেলে তৃণমূলের পক্ষে এই বিবৃতি প্রকাশ করেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তৃণমূলের বিবৃতি প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যেই পালটা সাংবাদিক সম্মেলন করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমি কোনও দলবিরোধী কাজ করিনি। এখন কি আমাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে? যাঁরা তৃণমূলের লড়াকু কর্মী তাঁদের কি অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে?’ এদিন একাধিক পরিসংখ্যান দিয়ে কুণাল বোঝাতে চাইলেন তৃণমূলের আর পাঁচজন নেতার মত তিনি নন।
এদিন উত্তর কলকাতার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকায় মে দিবসের একটি রক্তদান অনুষ্ঠানে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কুণাল ঘোষ প্রশংসা করেন তাপস রায়ের। পাশাপাশি এবারের ভোটে ছাপ্পা ভোট না দেওয়ার বার্তা দলীয় কর্মীদের দেন কুণাল ঘোষ। আর এই বক্তব্যের পরই চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। এরপরই একটি বিবৃতি প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে কুণাল ঘোষকে অপসারণ করে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। বিবৃতিতে সই ছিল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনের৷ পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক থেকে ডেরেককে ‘কুইজ় মাস্টার’ বলে কটাক্ষ করেছেন কুণাল৷
এদিন কুণাল দাবি করেন, তিনি এখনও দলের তরফে কোনও অফিশিয়াল বার্তা পাননি। যে বিবৃতি প্রকাশ হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে পদ থেকে ‘রিমুভড’। তৃণমূল নেতার দাবি, তিনি নিজে অনেক আগেই এসব পদ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। বললেন, ‘আমাকে তো একটা ফোন করেও বলতে পারত, তুমি যে পদ ছাড়তে চেয়েছিলে, সেখান থেকে তোমাকে অব্যাহতি দিচ্ছি। সেখানে অপসারিত শব্দ তো যায় না। আমি তো কোনও দলবিরোধী কাজ করিনি।’ কুণালের কথায়, “অনেক আগেই দলের সমস্ত পদ আমার সোশ্যাল সাইট থেকে সরিয়ে দিয়েছি। তারপরে এদিন বহিষ্কারের চিঠি দিয়ে দল কী বোঝাতে চাইল? আমি তো বুঝতেই পারছি না কী অপরাধ করলাম? এবার কি আমাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে?” এরপরই তিনি একের পর এক দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, “দেবও তো মিঠুনের প্রশংসা করেছিলেন, তাহলে আমার ক্ষেত্রে কেন ব্যবস্থা? রক্তদান শিবিরে গিয়ে কি তাপস রায়ের সঙ্গে গুঁতোগুঁতি করতাম! আমার আর তাপস দার লড়াই নীতি আদর্শের। তাপসদা যাতে দল না ছাড়েন সেজন্য আমি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছি। উনি এখন অন্য দলে রয়েছে বলে যা খুশি বলব, এমন শিক্ষা আমার নেই। আমি এখনও বলব- উনি দক্ষ সংগঠক, জনদরদী নেতা।” কুণাল এও বলেন, “ক্ষমতার লোভে তৃণমূলে আসিনি। তাই যাওয়ারও প্রশ্ন ওঠে না। তৃণমূলের একজন সৈনিক হিসেবে ছিলাম, আছি এবং শেষ দিন পর্যন্ত থেকে যাওয়ার চেষ্টা করব।”
উল্লেখ্য, কলকাতার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকায় রক্তদান শিবিরের একটি অনুষ্ঠানে বিজেপি প্রার্থী তাপসের দরাজ প্রশংসা করে কুণাল বলেন, “তাপস রায় একজন দক্ষ সংগঠক এবং দায়িত্ববান জননেতা। মানুষের জন্য সবসময় ওর দরজা খোলা থাকে, উনি সর্বক্ষণ মানুষের আপদে বিপদে পাশে থাকেন।” কুণাল এও বলেন, “একটিও ছাপ্পা ভোট নয়, মানুষকে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে দিন।” তাপসও বলেন, “কুণাল খুব ভাল ছেলে। ওকে আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি।”
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ যেই কলেজের মাথা মন্ত্রীপুত্র, সেই কলেজের মাঠেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার নামার…
দিনহাটা: ফের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার দিনহাটায়। মঙ্গলবার রাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও তাজা কার্তুজ সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার…
শিলিগুড়ি: পর্যটকদের অত্যন্ত পছন্দের গন্তব্য পাহাড়ি শহর মিরিক। তবে এতদিন মিরিক পর্যন্ত বাস পরিষেবা থাকলেও…
হেমতাবাদ: গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন বাড়ির সদস্যরা। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কার্যত লুঠতরাজ (Theft case)…
কিশনগঞ্জঃ বুধবার রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি গাছে ধাক্কা মারল একটি মারুতি গাড়ি।…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: তিন বছর পর দেশের মাটিতে ইভেন্টে নেমেই সোনা জয় অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন…
This website uses cookies.