ভোপাল: মধ্যপ্রদেশ সরকার কুনো জাতীয় উদ্যানের চিতা(Cheetah) প্রকল্প নিয়ে কোনও তথ্য জানাতে অস্বীকার করেছে। তথ্য জানতে চেয়েছিলেন বন্যপ্রাণী সমাজকর্মী অজয় দুবে। সরকার জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও দেশের অখণ্ডতার স্বার্থে কিছুই জানানো যাবে না। এই জবাবে শুধু বন্যপ্রাণ প্রেমীরাই নন, সাধারণ মানুষও বিস্মিত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের চিতা প্রকল্পে আফ্রিকা থেকে দু’ক্ষেপে এদেশে আনা হয় বেশ কয়েকটি পুরুষ ও স্ত্রী চিতা। তাদের কয়েকটির সন্তান হয়েছে। শাবক সহ কয়েকটি চিতা মারাও গিয়েছে। জঙ্গলের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে মোদির চিতাপ্রকল্পর মূল উদ্দেশ্য দেশে শূন্য হয়ে যাওয়া চিতার সংখ্যা বৃদ্ধি। তিন বছর আগে কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতা ছাড়া হয়েছিল।
সম্প্রতি কুনোর(Kuno Natioanl Park) এক চিতা শাবকের ব্যান্ডেজ বাঁধা পায়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। অজয় কুনো জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য জানার অধিকার আইনে চিঠি পাঠিয়ে কিছু প্রশ্ন রেখেছিলেন। ব্যান্ডেজ বাঁধা চিতাটির ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে যুক্ত করে অজয় চিতার সংখ্যা, শেওপুর জেলার কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতাদের কতটা যত্নে রয়েছে ও মন্দসৌর জেলার গান্ধি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে চিতাদের স্থানান্তরিত করার কোনও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে কি না, তা জানতে চান।
অজয়ের প্রশ্নের উত্তর জানাতে অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ জানান, তথ্য জানার অধিকার আইন ২০০৫-এর ৮(১)(এ) ধারা অনুযায়ী কিছুই জানানো যাবে না। বিষয়টির সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষা জড়িত। মুখ্য বন সংরক্ষক কার্যালয়ের জনসংযোগকারী আধিকারিক সৌরভ কাবরা জানিয়েছেন, তথ্য জানানোর বিষয়টি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত। তারা তথ্য না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।