কোচবিহার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিকাঠামোগত সমস্যায় ভুগছে। বিভাগগুলিতে পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীও নেই। বিজ্ঞান বিভাগে নেই পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিও। এর জেরে প্রতিনিয়তই নানাবিধ সমস্যায় পড়ছেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে অধ্যাপকরাও। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার থেকে শুরু করে উপাচার্যও।
গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৬০ জন অধ্যাপক রয়েছেন। স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকর্মী রয়েছেন মাত্র ৫০ জন। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায়ের বক্তব্য, ‘শিক্ষকের অভাব মেটাতে মঞ্জুর হওয়া শূন্য পদগুলির জন্য একসময় বিজ্ঞাপন বেরোলেও কোনও কারণে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি। সেগুলো যাতে দ্রুত নেওয়া যায়, সেরকম চিন্তাভাবনা করেছি।’
এদিকে কর্মীর অভাবের কারণে কিছুক্ষেত্রে অধ্যাপকদেরই বিভাগের কাজ করতে হচ্ছে। বিজ্ঞান বিভাগগুলিতে নেই স্থায়ী ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টও। এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭টি বিভাগের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সার্টিফিকেট কোর্সও চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি এবং অঙ্ক বিভাগেও পর্যাপ্ত অধ্যাপক নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্স, বোটানি বিভাগের ল্যাবে জায়গার অভাব রয়েছে। পাশাপাশি সেখানে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিও নেই। কেমিস্ট্রি বিভাগেও রিসার্চের জন্য আরও উন্নতমানের যন্ত্রপাতির প্রয়োজন। সম্প্রতি ফিজিক্স বিভাগ কয়েকটা কম্পিউটার পেলেও জায়গার অভাবে সমস্ত কম্পিউটার বসানো যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফিজিক্স বিভাগের এক অধ্যাপকের মন্তব্য, ‘আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট পাচ্ছি। কিন্তু বিভাগের পরিস্থিতি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভিজিট করতে এলে প্রোজেক্টের কাজ আটকে যেতেও পারে। জায়গার অভাবে বিভাগের ল্যাব চালাতে সমস্যা হচ্ছে।’ এবিষয়ে উপাচার্যের মন্তব্য, ‘জায়গার অভাব মেটাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বিল্ডিংয়ের দরকার।’
সমস্যার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ডিন দিলীপ দেবনাথের মন্তব্য, ‘বিজ্ঞান বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষকের পাশাপাশি কর্মীরও অভাব রয়েছে। পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে কিছুক্ষেত্রে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কিছু বিভাগে আরও উন্নতমানের যন্ত্রপাতির প্রয়োজন রয়েছে।’
এদিকে, এক দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও অডিটোরিয়াম নেই। এতে সমাবর্তন সহ অন্যান্য কোনও বড় অনুষ্ঠান হলে হলঘরের জন্য ভাড়া গুনতে হয় কর্তৃপক্ষকে। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও চিকিত্সক নেই। অস্থায়ী ক্যান্টিন থাকলেও স্থায়ী ক্যান্টিন, স্টুডেন্ট অ্যাক্টিভিটি সেন্টার, জিম এতদিনেও হয়নি। পড়ুয়া আসিফ আলমের বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী বহু জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়েছেন। কিন্তু সেখানে ঠিকঠাক পরিকাঠামো রয়েছে কি না সেবিষয়ে কোনও খোঁজ রাখছেন না।’ গোটা ক্যাম্পাসে সীমানা প্রাচীর না থাকায় যে কোনও সময় বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ছে বলেও অভিযোগ পড়ুয়া দুলাল হকের।
এখানে শেষ নয়। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবনের কাজ চললেও এখনও তা হাতে পায়নি কর্তৃপক্ষ। আর এতেই যত সমস্যা। শীঘ্র এই ভবনটি কর্তৃপক্ষ পেলে পরিকাঠামোগত সমস্যা কিছুটা হলেও মিটতে পারে।
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল (CBSE 12th Results 2024) ঘোষণা…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ এতদিন যিনি ছিলেন ‘ধর্মাবতার’, আর আজ তিনি মামলাকারীর ভূমিকায়। তিনি আর…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের উপহার দেওয়া তিনটি বিমান (Three aircraft) ওড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাইলট…
চালসা: পরিবেশ রক্ষা এবং সুস্বাস্থ্যের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে সাইকেল র্যালির (Cycle rally) আয়োজন…
পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি: অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় চলছিল কাজ। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎই অদৃশ্য কারণে থমকে গিয়েছে…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রবিবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল সন্দেশখালি। এদিনের উত্তেজনার ঘটনায় চার বিজেপি কর্মীকে…
This website uses cookies.