চ্যাংরাবান্ধা: সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার ও চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেপ্তারি নিয়ে উত্তপ্ত বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি। যার আঁচ পড়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চ্যাংরাবান্ধাতেও (Changrabandha)। এবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ তথা সীমান্ত বাণিজ্য সচল রাখার দাবি জানাল বাম-কংগ্রেস জোট। এই নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় চ্যাংরাবান্ধায় একটি যৌথ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ।
এদিনের মিছিলে পা মেলাতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য নির্মল ঘোষ দস্তিদার, কোচবিহার জেলা আইএনটিইউসির সভাপতি বিশ্বজিৎ সরকার, সিপিআইএম মেখলিগঞ্জ এড়িয়া-২ কমিটির সম্পাদক দীপক গুহ সহ আরও অনেককে। মিছিলটি চ্যাংরাবান্ধা বাজারের বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে ভিআইপি মোড় পরিক্রমা করে। এরপর বাসস্ট্যান্ডে ফিরে এসে প্রতিবাদ সভা করা হয়।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে দীপক গুহ বলেন, ‘বাংলাদেশে যা হচ্ছে সেটা কেন্দ্রীয় সরকার দেখবে। কিন্তু হিন্দুদের দায়িত্ব শুভেন্দু অধিকারীর হাতে কে কবে তুলে দিয়েছে? এখানে ধর্মীয় বিভেদ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। অতীতে বাংলাদেশ গঠনের সময় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় জ্যোতি বসু বিরোধী দলনেতা থাকাকালীন পরিস্থিতি সামলেছেন। দিল্লি থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধিও তাঁর দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু এখন ভারত সরকার এত দেরি করছে কেন?’ বিশ্বজিৎ সরকারও এদিন বলেন, ‘ইউনূস সরকার বাংলাদেশে ব্যর্থ। মৌলবাদীদের রাজত্ব চলছে সে দেশে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পাশে না দাঁড়িয়ে বরং আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করার হুমকি দিচ্ছে কিছুজন। এতে যে ক্ষতিই হবে সেটা বোঝার বোধ এদের হয়নি।’