রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: ফের লোকালয়ে চিতাবাঘের আতঙ্ক। এবার ঘটনাস্থল শিলিগুড়ি(Siliguri) পুরনিগমের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির সংলগ্ন এলাকা। স্থানীয়দের দাবি, বুধবার বিকেলে তাঁরা এলাকায় একটি চিতাবাঘ দেখতে পান। সেটি ঘেরা দেওয়া একটি ফাঁকা জায়গায় ঢুকে পড়ে বলে দাবি স্থানীয়দের। এরপরই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। রাত যত বাড়তে থাকে আতঙ্কও বাড়তে থাকে। খবর পেয়েই বন দপ্তরের সুকনা বন্যপ্রাণ বিভাগ এবং সারুগারা রেঞ্জের বনকর্মীরা(Forest Workers) ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রধাননগর থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। খবর লেখা পর্যন্ত বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। বনকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে ওই জায়গাতেই রাখা হবে চিতাবাঘটিকে। ভোরের দিকে তাকে জঙ্গলে পাঠানো হবে। সারুগারার রেঞ্জার স্বপনকুমার রাউতের বক্তব্য, ‘আমাদের একটি টিম আছে ওখানে। রাতে চিতাবাঘটিকে বিরক্ত করা হবে না। এতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হতে পারে।’
বুধবার বিকেলে স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রথম চিতাবাঘটিকে(Leopard) দেখতে পান। তিনি দেখেন প্রাচীর টপকে একটি ঘেরা দেওয়া জায়গায় ঢুকছে সেটি। ওই জায়গায় ঝোপজঙ্গল থাকায় দেখা যাচ্ছিল না সেটিকে। এরপরই তিনি আশপাশের লোকজনকে জানান। মুহূর্তের মধ্যে খবর চাউর হয়ে যায় এলাকায়। একে একে ভিড় জমাতে থাকে সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে বন দপ্তরের কর্মী এবং আধিকারিকরা রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। কিন্তু অন্ধকার থাকায় বনকর্মীরা সেটিকে দেখতে পাননি।। তবে বন দপ্তরের তরফে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। কেউ যাতে রাতে একা বাইরে না বের হয় সেই বিষয়ে সজাগ করা হয় সাধারণ মানুষকে। স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত অধিকারীর বক্তব্য, ‘এক প্রতিবেশী হঠাৎ খবর দেন এলাকায় চিতাবাঘ এসেছে। শুনেই তো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আগে বাড়ির দরজা বন্ধ করি। তারপর এখানে এসেছি।’
বছর ছয়েক আগে একইভাবে শিলিগুড়ির শালুগাড়া চেকপোস্টের কাছে একটি শপিং মলের উলটোদিকে থাকা ফাঁকা জায়গায় চিতাবাঘ ঢুকে পড়ে। চারদিন ধরে তল্লাশি চালানোর পর তাকে খাঁচাবন্দি করা হয়। তার কিছুদিন পর দেবীডাঙ্গা সংলগ্ন এলাকায় দিনেরবেলায় লোকালয় একটি চিতাবাঘ চলে আসে। বেশ কয়েকজন সেই সময় চারজন আক্রমণে আহত হয়েছিলেন। পরে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করা হয়েছিল তাকে।