নাগরাকাটা: নেপাল চায়ের দাপটে দার্জিলিং চায়ের কোণঠাসা হয়ে পড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রকের বাগিচা শাখাকে (প্ল্যান্টেশন ডিভিশন) চিঠি দিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড। বৈদেশিক বাণিজ্যের বিষয়টি বাণিজ্যমন্ত্রকেরই আওতাধীন এই শাখাটি দেখভাল করে। গত সোমবার ওই ডিরেক্টরেটের উপ মহানির্দেশক সঞ্জয়কুমার তিওয়ারি প্রেরক হিসাবে বাণিজ্যমন্ত্রকের বাগিচা শাখাকে এই চিঠি পাঠান।
এই চিঠিতে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তা ছেত্রীর ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেডকে বলেছেন, বর্তমানে নেপাল থেকে চা রপ্তানির যে নীতি রয়েছে সেটি জনস্বার্থের পরিপন্থী। এটির দ্রুত পর্যালোচনা জরুরি। আট পাতার ওই চিঠিতে দার্জিলিংয়ের চা শিল্পের এই পরিস্থিতির পেছনে আরও কিছু কারণ চিহ্নিত করে সে ব্যাপারেও কেন্দ্রের পদক্ষেপ দাবি করেন।
হিল তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পদে থাকা শান্তা তাঁর পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রকে জানিয়েছেন, ভারত থেকে নেপালে রপ্তানি হওয়া চায়ের ওপর সেদেশের সরকার ৪০ শতাংশ কর আরোপ করে। এতে সেখানকার চা শিল্প রক্ষা পাচ্ছে। অন্যদিকে, নেপালের যে চা ভারতে আসছে তার ওপর এদেশে কোনও রপ্তানি কর নেই। ফলে একই ধরনের ভৌগোলিক পরিবেশে উৎপাদিত নেপাল সস্তার চায়ের দাপটে দার্জিলিং চা শিল্পের পরিস্থিতি দিনকে দিন আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে।
পাশাপাশি, তিনি একটি পরিসংখ্যান পেশ করে জানিয়েছেন, ফি বছর নেপাল থেকে ভারতে ১৬ মিলিয়ন কিলোগ্রাম চা রপ্তানি হয়। এর মধ্যে দার্জিলিংয়ের মতোই অর্থডক্স ক্যাটিগোরির চায়ের পরিমাণ ৫-৬ মিলিয়ন কিলোগ্রাম। ওই চা দার্জিলিংয়ের নামে এখানকার বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ফলে গ্রাহকরাও বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন।
চা বণিকসভা টেরাই ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (টিপা)-এর চেয়ারম্যান মহেন্দ্র বনসাল পালটা বলেন, ‘শুধু অর্থডক্সই নয়, নেপাল থেকে অন্তত ২০ মিলিয়ন সিটিসি চা কোনও কর ছাড়াই ভারতে ঢোকে। ৩০ নভেম্বরের পর নেপালের চা যে এখানে আসা বন্ধ হবে এই নিশ্চয়তা কে দেবে?’