মালদাঃ পুলিশকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চায়েতের মতো ভোট লুট করতে চাইছে তৃণমূল। এমনই আশঙ্কা করছেন উত্তর মালদার বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম। হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে পুরাতন মালদা পর্যন্ত চার শতাধিক বুথকে অতিস্পর্শকাতর ঘোষণার দাবি জানিয়ে শুক্রবার দুপুরে জেলা শাসকের দ্বারস্থ হয় বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলা শাসকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়ার পাশাপাশি দাবিপত্র পাঠানো হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছেও। এদিনের স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে মোস্তাক আলম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সোম্য আইচ, আশোক ভট্টাচার্য, জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অম্বর মিত্র, সিপিএম নেতা বিশ্বনাথ ঘোষ, জামিল ফিরদৌস প্রমুখ।
জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করার আগে বাম-কংগ্রেস নেতারা এদিন মালদয় সাংবাদিক বৈঠক করেন। মোস্তাক আলম জানান, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদা জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় তৃণমূল ভোট লুট করেছিল। মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমাদের আশঙ্কা, এবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করবে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই বাম-কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের পুলিশ থানায় ডেকে পাঠিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। তাঁদের ছবি তুলে রাখছে। হরিশ্চন্দ্রপুরে একটি খুনের মামলায় আমার ইলেকশন এজেন্ট মাসুদ আলমকে তলব করেছে পুলিশ। অথচ মাসুদ রতুয়া-২ ব্লকের বাসিন্দা। আমরা আরও আশঙ্কা করছি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে আটকে গ্রামে গ্রামে বাম-কংগ্রেসের ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে যাওয়া থেকে আটকাতে পারে তৃণমূল আর পুলিশ। উত্তর মালদায় চার শতাধিক বুথকে আমরা অতিস্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করেছি। ভোট গ্রহণ কেন্দ্র ও গ্রামগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি। গোটা বিষয়টি লিখিত আকারে জেলা শাসকের হাতে তুলে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগপত্র পাঠাচ্ছি।’
মোস্তাক আরও জানান, ‘উত্তর মালদায় দু’লক্ষেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই ভোট দেওয়ার জন্য ঘরে ফিরে এসেছেন। আবার অনেকে ফিরছেন না। যাঁরা ফিরছেন না তাঁদের ভোট ভুয়ো ভোটারেরা দিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্র যাতে ভালোভাবে দেখে ভোট দিতে দেওয়া হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা চাইছি, মানুষ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে অংশ নিক। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিক।’