বারবিশা: প্রেমিক ডিফেন্সে চাকরি পেতে চলেছে। তা জেনে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের ধারসির তরুণকে কুমারগ্রাম ব্লকের বারবিশা লস্করপাড়ার এক তরুণী মন দিয়েছিল। টানা দু’বছর তাঁদের প্রেম পর্ব চলে। সম্পর্কের কথা উভয়ের পরিবারের অভিভাবকরা জানতেন। সম্প্রতি চাকরির মেডিকেল পরীক্ষায় প্রেমিক আটকে যান। চাকরি হচ্ছে না জেনে প্রেমিকার বাড়ির লোকজনের মোহভঙ্গ হয়। ‘বিয়ে আর হচ্ছে না’- প্রেমিকার পরিবারের লোকেরা ওই তরুণকে সাফ জানিয়ে দেয়। এতেই প্রেমিক মরিয়া হয়ে ওঠেন। মোবাইলে দুজনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি দেখিয়ে বিয়ের দাবিতে মেয়ের বাড়ির সামনে রবিবার ওই তরুণ ধর্নায় বসেন। পরে অবশ্য অনেক বুঝিয়ে কুমারগ্রাম থানার বারবিশা ফাঁড়ির পুলিশ ধর্না তুলে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই তরুণীর বাড়ির লোকেরা জোর করে ধর্না তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গ্রামবাসীর সমর্থনে সেটা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে বারবিশা ফাঁড়ির ওসি পুলিশকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। গ্রামবাসী, ওই তরুণীর আত্মীয়স্বজন এবং ধর্নারত তরুণের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেন। ঠিক হয়, আগামী বৃহস্পতিবার ছেলে ও মেয়ের বাড়ির অভিভাবকরা একত্রে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেবে। এই আশ্বাস পেয়ে প্রেমিক ধর্না কর্মসূচিতে ইতি টানেন। রাতে তিনি নিজের বাড়িতে ফিরে যান। ওই তরুণের দাবি, ‘ডিফেন্সে চাকরি না হওয়ায় প্রেমিকার পরিজন বিয়েতে বেঁকে বসেন। ঘটনার প্রতিবাদে প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসেছি।’
স্থানীয় এক মহিলা জানান, ওই তরুণ অনেকদিন ধরে মেয়েটির বাড়িতে যাতায়াত করছে। এখন মেয়ের বাড়ির লোকজন কথা পালটাচ্ছে। মেয়েকে দিয়ে জোর করে বলাচ্ছে সে আর ওই তরুণকে ভালোবাসে না। ছেলেটি নাকি মেয়েটিকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেল করছে। আমরা তা বিশ্বাস করি না।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ওই তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনও মন্তব্য করেনি।