মালবাজার: বুধবার গভীর রাতে ঝড়ে বিপর্যস্ত মাল ব্লক। উড়েছে বিদ্যালয়ের চাল। ডামডিম যোগেন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। চা বাগান এলাকাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাল নদী চা বাগান ম্যানেজার রাজা চক্রবর্তী জানান, ঝড়ে শ্রমিক আবাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছায়া গাছ বিনষ্ট হয়েছে। মালের বিডিও শুভজিৎ দাশগুপ্ত জানান, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
মহকুমা শাসক পিয়ুস ভগবানরাও সালুনকে বলেন, ‘ঝড়ে মহকুমায় ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা চলছে।’ কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকাও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গরুবাথানের স্পেশাল গোলাই এবং ভুট্টা বাড়ি বনাঞ্চল এলাকায় ঝড়ে প্রচুর গাছ উপড়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়ে যায়। বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির মালবাজারের বিভাগীয় আধিকারিক নবীন কুমারের নেতৃত্বে আধিকারিক এবং কর্মীরা পরিস্থিতি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়া মেটিলি ব্লকের সোনগাছি চা বাগানের ম্যানেজার রাধেশ্যাম খান্ডেলওয়াল জানান, ঝড়ে বাগানের ৪৭০টি ছায়া গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মূলত নাকাটি ডিভিশনেই ক্ষয়ক্ষতি বেশি।