কল্লোল মজুমদার, মালদা: বাবলা সরকার খুনের পরেও কেমন যেন নিরুত্তাপ জেলা তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। মালদা (Malda) শহরের কোনও মোড়ে নাম কে ওয়াস্তে শোক প্রকাশের ব্যানার ঝোলানো হলেও এখনও পর্যন্ত হয়নি কোনও শোক মিছিল। নেই কোনও স্বতঃস্ফুর্ত প্রতিবাদ। উলটে দেদার উৎসবের মতো চলছে খাই খাই মেলা, ফুল মেলা। খামতি নেই নানা উদযাপনের। আর যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বহু তৃণমূল কর্মী।
যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সীর সাফাই, ‘আগামী ১২ জানুয়ারি দুপুর ১টা মালদা শহরের রামকৃষ্ণপল্লিতে বাবলা সরকারের স্মরণসভা করা হচ্ছে। ওই সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
শুধু তাই নয়, এখনও বহু প্রশ্নের উত্তর অধরা। প্রশ্ন উঠেছে, পলাতক বাবলু যাদব ও কৃষ্ণ রজকের সন্ধান পেতে ২ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে মালদা জেলা পুলিশের তরফে। তবুও মেলেনি সন্ধান। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ইতিমধ্যে জেলা থেকে তিনটি দল কাটিহারের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায়। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, আর কতদিন?
প্রশ্ন উঠেছে, খুনের দিনই রাত ১০টা নাগাদ মালদা শহরের উপকণ্ঠ বাগবাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার হয় একটি বাইক। এই বাইকটি কার সে প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। উত্তর মেলেনি খুনের মোটিভ নিয়েও। উত্তর মেলেনি এই চক্রান্তের মাথা কে?
এই নিয়েও আবদুর রহিম বক্সীর দাবি, ‘স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি দেখছেন। আমরা আশাবাদী আর কয়েকদিনের মধ্যেই মূল মাথা সহ যারা যারা জড়িত, তারা সবাই গ্রেপ্তার হবে। কারণও বের হয়ে আসবে।’ যদিও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বাবলা ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ‘পুলিশ দাদার খুনিকে না খুঁজে তৃণমূ্লের একাংশকে বাঁচাতে ব্যস্ত। কাকে বাঁচাতে চাইছে পুলিশ তা জানতে চায় মালদার মানুষ।’
অপর এক বাবলা ঘনিষ্ঠ অনন্ত চক্রবর্তীর দাবি, ‘আমরা বাবলাদার কাজ শেষের জন্য অপেক্ষা করছি। তারপর এলাকার মানুষের তরফে শোক মিছিলও হবে। স্মরণসভাও হবে।’ এতো গেল নেতাদের কথা। কিন্তু এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন, বাবলাদার স্মরণসভায় এতো দেরি কেন? কেনই বা শহরজুড়ে উৎসব চলছে? তাহলে কি শোক শুধুমাত্র লোকদেখানো?