মালদাঃ প্রার্থী নিজেও জানেন, তাঁর জয়ের চাবিকাঠি ইংরেজবাজার শহরেই। আর তাই ভোটের দিন সাতসকাল থেকেই শহরের বুথে বুথে ঘুরে বেড়ালেন দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। কোথাও তৃণমূল নেতাদের চোখে চোখ রেখে চালিয়ে গেলেন লড়াই। কোথাও বা বুথ থেকে রাজ্য পুলিশকে বের করে নির্বাচনি আইন শেখালেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। শহরের বেশ কয়েকটি বুথে তাঁকে ঘিরে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হলেও পরোয়া করেননি তিনি। শহরের তৃণমূল নেতাদের ‘লুজ’ বলে একের পর এক ছক্কা মারলেন বিজেপি প্রার্থী।
এদিন তিনি প্রথমেই খবর পেয়ে ছুটে যান শহরের বিবেকানন্দ স্কুলে। শ্রীরূপার অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডের বস্তিবাসীদের নিয়ে এসে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে জ্যাম করার চেষ্টা করছেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার কাকলি চৌধুরী৷ তাঁর অভিযোগ পেয়েই অবশ্য পুলিশ গোটা এলাকা খালি করে দিয়েছে৷ ঠিক তার পরেই কাউন্সিলারের লোকজন বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান৷ তবে নিজের মেজাজেই সেই বিক্ষোভ মোকাবিলা করেছেন শ্রীরূপা৷
শ্রীরূপা বলেন, ‘এই বুথে এক অদ্ভুত ছবি ধরা পড়েছে৷ ভোটদান কক্ষের গা ঘেঁষে বসে রয়েছেন ফার্স্ট পোলিং অফিসার৷ নির্বাচনকর্মী হয়ে তিনি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন৷ বিষয়টি আমি প্রিসাইডিং অফিসারের নজরে এনেছি৷ তিনি বিষয়টি ঠিক করার চেষ্টা করেছেন৷ এনিয়েও আমি কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি৷’
শ্রীরূপা আরও বলেন, ‘এই এলাকার কাউন্সিলার লোকজন নিয়ে এসে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে ভিড় জমানোর চেষ্টা করছেন৷ কাকলি চৌধুরী এলাকায় ঝামেলা পাকাচ্ছেন৷ আজ বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে থেকে তিনি সমস্যা তৈরি করছেন৷ আমাকে দেখে তিনি সরে যাচ্ছেন৷ আমি বুথে কতক্ষণ থাকছি, তা নিয়ে তিনি কোনও অভিযোগ জানাতে পারেন? তাঁর সেই এক্তিয়ার রয়েছে? আমি এই কেন্দ্রের প্রার্থী৷ আমি বুথে কতক্ষণ রয়েছি তা দেখার জন্য সিসিটিভি রয়েছে৷ কিন্তু কাউন্সিলার আজ শুধুমাত্র একজন ভোটার৷ তার বাইরে কিছু নয়।’
এদিকে কাউন্সিলার কাকলি চৌধুরীর বক্তব্য, ‘নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে শ্রীরূপা মিত্র বুথে ঢুকতেই পারেন৷ কিছু বলার নেই৷ কিন্তু ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে তিনি কেন বুথের ভিতর থাকবেন? এটা ঠিক নয়৷’এরপরেই শ্রীরূপাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কাকলি চৌধুরীর অনুগামীরা৷
শ্রীরূপা বলেন, ‘ইংরেজবাজার পুরসভার ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে একই ছবি আমার চোখে ধরা পড়েছে৷ রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলরা বুথের ভিতর ভোটারদের প্রভাবিত করছেন৷ রাজ্য পুলিশের পোশাক পরিহিত এক কনস্টেবল ভোটারদের ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন৷ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে প্রভাবিত করছেন৷ সেখানে একটি প্লাস্টিক টাঙানো ছিল যাতে সহজে সেই ছবি ধরা না পড়ে৷ আমি যাওয়ার পর সেখানে এসব বন্ধ করা হয়েছে৷’
এদিন দুপুর দু’টা নাগাদ শহরের ধীরেন সাহা স্কুলে বুথ জ্যামের খবর পেয়ে সেখানেও যান বিজেপি প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, ‘আমি দেখতে পাই রাজ্য পুলিশের এক কর্মী বুথের বারান্দার দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন।’ এরপরেই তিনি আঙুল তুলে বুথ থেকে বের করে দেন ওই পুলিশকর্মীকে। শুধু তাই নয়, দেখা যায় তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানকে বলে ওঠেন, ‘কেন আপনি রাজ্য পুলিশকে বুথে ঢুকতে দিয়েছেন? জানেন না আজ রাজ্য পুলিশের বুথে ঢোকার কোনও অধিকার নেই।’ ওই জওয়ানও স্বীকার করে নেন, ‘ভুল হয়ে গিয়েছে।’ এরপরেই দেখা যায় রাজ্য পুলিশের ওই কর্মী মাথা নীচু করে বুথ থেকে বের হয়ে যেতে।
শিলচর: মাতৃভাষা বাংলার অধিকার রক্ষার আন্দোলনে (Language Movement) ১৯৬১ সালের ১৯ মে শহিদ ১১ জন…
বুনিয়াদপুরঃ ধান ভাঙার মিলঘরে তেরো বছরের আদিবাসী নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে পঞ্চাশোর্ধ্ব মিল মালিককে গ্রেপ্তার…
দীপঙ্কর মিত্র, রায়গঞ্জ: পিএইচডিতে সুযোগের প্রবেশিকার উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় ডেপুটি কন্ট্রোলার অফ এগজামিনেশনের সঙ্গে টিচার্স…
রায়গঞ্জ: সেগুন কাঠ পাচারের (Wood Smuggling) অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করল বন দপ্তর। অসমের (Assam) শিলচর…
অনুপ সাহা, ওদলাবাড়ি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পরিচালিত ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (NET Exam 2024) পরীক্ষায় সারা…
হেমতাবাদঃ আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই তৃণমূলকর্মীকে গ্রেপ্তার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে…
This website uses cookies.