মালদা: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হয়েছে গোটা দেশ। এরইমাঝে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদায় (Malda)। শুধু তাই নয়, সেই ঘটনায় ভিডিও করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের (Rape Case) অভিযোগও উঠেছে৷ এদিকে, সমস্ত ঘটনা (Malda Rape Case) জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার। তবে এবার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন পরিবারের লোকজন।
নির্যাতিতার মা পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগে জানান, গত ১৩ জুলাই বাড়িতে ডেকে শরবতে মাদক মিশিয়ে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী যুবক। সেই ঘটনার ভিডিও রেকর্ডের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়। অবশেষে মেয়ে তাঁকে সমস্ত ঘটনা জানায়। ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত ও তার পরিবারের লোকজন টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলে। তাতে রাজি না হওয়ায় ওই যুবক ও তার পরিবারের লোকজন মেয়ের পোশাক ছিঁড়ে ফের ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেয়। লজ্জায় তাঁর মেয়ে সেই রাতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরদিন তিনি ইংরেজবাজার (English Bazar) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ২১ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। এদিকে, ওই যুবক অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে। বাধ্য হয়ে তিনি পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন।
নির্যাতিতা ছাত্রীর কথায়, ‘ছেলেটি আমাকে ধর্ষণ করে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার কথাও বলেছিল। গত ৭ তারিখ আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু এখনও পুলিশ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেনি। অবশেষে আমরা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হই। রবিবার পুলিশ গ্রামে এসেছিল। আমি ওই যুবকের কঠোর শাস্তি চাই।’