সৌরভকুমার মিশ্র, হরিশ্চন্দ্রপুর: তাঁরা প্রত্যেকেই জীবিত। কিন্তু ভোট দিতে গিয়ে জানতে পারেন ভোটার তালিকায় তাঁরা মৃত। ফলে ভোট না দিয়েই ফিরে আসতে হয় মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর-২ (Harishchandrapur) ব্লকের তিমিরপুরা প্রাথমিক স্কুলে থাকা বুথের ১২ জন ভোটারকে (Voter)। তাঁদের অভিযোগ, বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কেটে দিয়েছেন। ফলে তাঁরা নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে এবং ভোটদানের দাবিতে ওই ১২ জন ভোটার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিষয়টি তাঁরা ব্লক ও জেলা প্রশাসনের নজরে নিয়ে এসেছেন। যে বুথ লেভেল আধিকারিক ভোটার তালিকা থেকে তাঁদের নাম কেটেছেন তাঁর শাস্তিরও দাবি তুলেছেন তাঁরা।
অভিযোগকারী এক ভোটার জিয়াউর রহমান বলেন, ‘ওই বুথ লেভেল অফিসার সিপিএমের সক্রিয় কর্মী। এর আগে পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছিলেন। আমরা সিপিএমকে ভোট দিই না। এবারও দিতাম না। সেটা আঁচ করেই তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটার তালিকা থেকে আমাদের নাম কেটে দিয়েছেন, যাতে আমরা ভোট দিতে না পারি।’ আরেক বঞ্চিত ভোটারের কথায়, ‘আমরা এতদিন ধরে এই এলাকায় আছি। পঞ্চায়েতে ভোট দিয়েছি। কিন্তু লোকসভা ভোট দিতে গিয়ে জানতে পারি, তালিকায় আমাদের কারও নাম নেই। ফলে ভোট না দিয়েই আমাদের ফিরে আসতে হয়। কার ভুলে কেন এমন হল, তা জানতে আমরা ব্লক ও জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা যাতে আবার ভোট দিতে পারি, প্রশাসনের তরফে সেই ব্যবস্থা করে দিলে আমরা উপকৃত হব।’
তবে অভিযোগ মানতে রাজি নন অভিযুক্ত বুথ লেভেল আধিকারিক জিয়াউল হক। তাঁর দাবি, ‘আমি নিজে এলাকায় সার্ভে করতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, ওই ১২ জন ভোটার অন্য এলাকায় চলে গিয়েছেন। তাই তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সম্ভবত বিরোধী দলগুলির নেতাদের প্ররোচনাতেই তাঁরা এই অভিযোগ তুলে থাকতে পারেন।’
এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ২-এর বিডিও তাপস পাল বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এখন ভোটপ্রক্রিয়া চলছে। ভোট শেষ হলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’