মালদা: ভালোবাসে ছবি আঁকতে, আবৃত্তি করতে। বাবাকে অনুসরণ করে চলতে চলতেই বড় হয়ে ওঠা ঈশ্বরীর। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও বাধ সাধতে পারেনি। উচ্চমাধ্যমিকে ৪৭১ নম্বর পেয়ে নজরকাড়া ফল মালদার বার্লো গার্লসের ছাত্রী ঈশ্বরী সাঁপুইয়ের। উচ্চমাধ্যমিকে মেধা তালিকায় একটুর জন্য জায়গা হয়ে ওঠেনি তার।
টানা বেশিক্ষণ লিখতে পারে না ঈশ্বরী। হাতে ব্যান্ডেজ দিয়ে, থেমে থেমে, বিরতি নিয়ে লিখতে হয় তাকে। সেভাবেই পরীক্ষা দিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল করেছে সে। বাড়িতে মা, বোন, আর ঈশ্বরীকে নিয়ে তিনজনের টানাটানির সংসার। তার বাবা ছিলেন আবৃত্তি শিল্পী, ভালো ছবিও আঁকতেন। তিনি গত হয়েছেন ১০ বছর আগে। তার বাবা চলে যাওয়ার পর একটি সরকারি স্কুলে মিড-ডে মিলের রাঁধুনি হিসেবে যুক্ত হয়েছেন তার মা, পাশাপাশি সেলাইয়ের কাজ করেন তিনি। কখনও সংসারের হাল ধরতে ঈশ্বরীকেও করতে হয় হাতের কাজ। নিজে থেকে উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন গয়না তৈরি করে সে। ঈশ্বরী জানায়, তার বাবা বলতেন ভালো মানুষ হতে হবে। ঈশ্বরীর মায়ের বক্তব্য, অভাব থাকলেও পড়াশোনা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে ঈশ্বরীকে। ঈশ্বরীর বাবার অবর্তমানে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তার বাবার বন্ধু আর এক আবৃত্তি শিল্পী মালদা রেলওয়ে হাইস্কুলের শিক্ষিকা রেশমি মজুমদার। পাশাপাশি সে জানায়, সবসময়ের জন্য পাশে পেয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার দীপশ্রী মজুমদার। এছাড়াও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তার শিক্ষকরা।