উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এলাকায় ঘন ঘন লোডশেডিং। বিদ্যুৎ দপ্তরে বহুবার দরবার করেও হয়নি সমাধান। অগত্যা বাধ্য হয়েই বৃহস্পতিবার মালদার মানিকচকের একাধিক এলাকায় পথ অবরোধে শামিল হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধ চলাকালীন এনায়েতপুরে পুলিশ–জনতা খণ্ডযুদ্ধে রনক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পুলিশের গুলিতে জখম হন দু’জন স্থানীয় বাসিন্দা। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার সিপিএমের তরফে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়। এই বনধকে সমর্থন করে কংগ্রেস। বর্তমানে থমথমে এনায়েতপুর–সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা। সকাল থেকেই মানিকচকের বহু জায়গায় দোকানপাট বন্ধ। রাস্তায় গাড়ি চলাচল করলেও অন্যান্য দিনের তুলনায় কম। তবে এনায়েতপুর এলাকা নিস্তব্ধ।
এদিনের বনধের ফলে এলাকায় যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য জারি রয়েছে পুলিশের টহলদারি। এদিন ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘এখন এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। নতুন করে কোন অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি এলাকায়। দোকানপাঠ খোলা রয়েছে। রাস্তায় মানুষজন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।’ অন্যদিকে, জখম আইসি সহ দুই পুলিশ কর্মী এবং গুলিবিদ্ধ দুই পথচারীর সঙ্গে মালদা মেডিকেল কলেজে রাতেই দেখা করেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
উল্লেখ্য, গতকাল বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগে মানিকচকের এনায়েতপুর অঞ্চল–সহ ১০ জায়গায় পথ অবরোধ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওঠাতে গেলে তুমুল বচসা বাধে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। মারধর করা হয় পুলিশকর্মীদের। নিজেরে রক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায়। গুলি চালানোর ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন।