জসিমুদ্দিন আহম্মদ, মালদা: মাত্র এক বছরেই উধাও পিচের চাদর। বদলে তৈরি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ। বর্ষার জলে এই সব গর্ত এখন যেন আস্ত পুকুর। সুস্তানি মোড় থেকে আমজামতলা অভিমুখে প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে রাস্তা নির্মাণ করায় নতুন রাস্তার বেহাল দশা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের মধ্যে।
সুস্তানি মোড় এলাকা থেকে এই প্রধান সড়ক চলে গিয়েছে আমজামতলা, ফুলবাড়ি গ্রামের দিকে। বছর দুয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় এই রাস্তা পাকা করে মালদা জেলা পরিষদ। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রাস্তার পিচের প্রলেপ উঠতে শুরু করে। নতুন রাস্তায় তৈরি হয়েছে ছোট ছোট গর্ত। ভাঙাচোরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা।
এলাকার বাসিন্দা হায়দার আলির অভিযোগ, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা অবহেলিত। এই রাস্তা পেতে আমাদের অনেক খড়কাঠি পোড়াতে হয়েছিল। বছর দুয়েক আগে আমাদের কাদামাটির রাস্তা পাকা রাস্তায় পরিণত করা হয়। রাস্তা নির্মাণের সময় আমরা ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগও তুলেছিলাম। সেসময় আমাদের কথায় আমল দেয়নি স্থানীয় পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যরা। বছর ঘুরতেই পিচের চাদর উঠতে শুরু করে। এখন প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ। বর্ষায় এই গর্তগুলিতে জল জমে থাকে। এই জমা জলের উপর দিয়েই চলাচল করতে হয়।’
আরজাউল ইসলাম নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের এই রাস্তা গিয়ে মিশেছে আমজামতলায়, যা মালদা শহরের (Malda news) সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম বাইপাস রাস্তা। গুরুত্বপুর্ণ এই রাস্তার ২ কিলোমিটার অংশ অত্যন্ত খারাপ। প্রতিদিন পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে বাইক, টোটো সহ নানা যানবাহন। নতুন রাস্তার বেহাল অবস্থা কেন হবে। আমাদের দাবি, এই রাস্তার সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে তুলতে জেলা পরিষদ উদ্যোগ গ্রহণ করুক।’
মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ জানান, ‘রাস্তা পরিদর্শন করে দেখা হবে। পরিস্থিতি খুব খারাপ থাকলে দ্রুত সংস্কার করা হবে।’