হবিবপুর ও রতুয়া: ২৪ ঘণ্টায় জোড়া যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদায় (Malda)। একদিকে হবিবপুরে ক্লাস এইটের এক কিশোরীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেপ্তার (Arrest) করা হয়েছে তার জামাইবাবুকে। অন্যদিকে রতুয়ায় গৃহবধূকে মুখ-হাত বেঁধে নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে।
শীতের রাতে বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে ভুট্টার খেতে নিয়ে গিয়ে মাঝবয়সী এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে একদল দুষ্কৃতী৷ সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়া থানা এলাকায়৷ মঙ্গলবার সাতসকালে একটি বিলের ধারে ভুট্টাখেত থেকে অচৈতন্য অবস্থায় ওই মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামের কয়েকজন মানুষ৷ মহিলার হাত-পা বাঁধা ছিল৷ মুখে কাপড় চাপা দেওয়া হয়েছিল৷ স্থানীয়রা সামসী পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি জানালে পুলিশকর্মীরা মহিলাকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠান৷ এই ঘটনায় এলাকার দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে৷
আক্রান্ত মহিলার দাবি, ‘গতকাল রাতে শোওয়ার ঘর থেকে বাথরুমে যাওয়ার সময় এলাকার দুই ব্যক্তি আমাকে চেপে ধরে৷ আমি যাতে আওয়াজ না করতে পারি তার জন্য আমার মুখ কাপড়ে বেঁধে দেওয়া হয়৷ হাত দুটোও বেঁধে দেয় তারা৷ এরপর ওরা আমাকে টানতে টানতে বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে বিলের পাশে থাকা একটি ভুট্টাখেতে নিয়ে আমার উপর অকথ্য অত্যাচার শুরু করে৷ আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি৷’
আক্রান্ত মহিলার সংযোজন, ‘গত মাসের ২৭ তারিখ ওই দুই জনের মধ্যে একজন আমার উপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছিল৷ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ আমাকে আদালতে মামলা রুজু করার পরামর্শ দেয়৷ সেই পরামর্শ মেনে আদালতে মামলা করেছিলাম৷ সম্ভবত তার প্রতিশোধ নিতেই ওরা গতকাল রাতে আমার উপর এই অত্যাচার চালিয়েছে৷’
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার বয়ানে এখনও পর্যন্ত ধর্ষণের বিষয়টি পরিষ্কার নয়। তার সঙ্গে কি করেছে পরিষ্কার করে বলতে পারছে না। নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে৷
এদিকে হবিবপুর থানার একটি প্রত্যন্ত এলাকায় নিজের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসার নাম করে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তার সম্পর্কে জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযোগ অনুযায়ী, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। রবিবার অভিযোগ পাওয়ার পর ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থার পাশাপাশি পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযোগের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ধর্ষণে অভিযুক্ত’কে গ্রেপ্তার করে। এরপর সোমবার ধৃতের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
ধর্ষণে অভিযুক্ত বছর বত্রিশের যুবক বিবাহিত। পাশের গ্রামেরই বছর চোদ্দ’র এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সম্পর্কে তার শ্যালিকা। বৃহস্পতিবার ধৃত যুবক তাকে ভয় দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না বলার জন্যও হুমকি দেওয়া হয়। তাঁরা মেয়েকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সব কথা জানায় নির্যাতিতা নাবালিকা। হবিবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকা’কে ধর্ষণের অভিযোগে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।