উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আদিবাসী নৃত্যের তালে তিনি পা মেলান অহরহ। পুজোতে ঢাক বাজাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ডান্ডিয়া নাচেও অংশ নিয়েছেন। তবে ভাংড়া নেচেছেন কিনা তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই। এদিন রাজ্য সরকারের দোল ও হোলি মিলন উৎসবের অনুষ্ঠানে ভাংড়ার তালে নেচে দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
ধনধান্য অডিটোরিয়ামে এদিনের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র নৃত্য তো ছিলই, ডান্ডিয়াও পরিবেশিত হয়। শিখ সম্প্রদায়ের অনেকে হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানে। তাদের দেখে মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন একটু ভাংড়াও হয়ে যাক। এরপর মঞ্চের নীচে শিখরা অনেকে জড়ো হয়ে ভাংড়া করতে শুরু করেন। সাউন্ড বক্সে বেজে ওঠে দালের মেহেন্দির কণ্ঠে ‘হায়ো রাব্বা’। প্রথমে স্টেজে বসেই তাদের তালে তাল মেলান মুখ্যমন্ত্রী। পরে নিজেই নেমে আসেন স্টেজ থেকে এরপর ভিড়ে মিশে ভাংড়া নাচতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ হাত তুলে ভাংড়ার মুদ্রা অনুকরণ করে নাচতে দেখা যায় তাঁকে। পরে মুখ্যমন্ত্রী স্টেজে উঠে ভাষণও দেন। তিনি জানান, এবার প্রথম এই অনুষ্ঠান হল। পরের বার নেতাজী ইন্ডোরে আরও বড় করে হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ একাধিক শিল্পপতি ও বিভিন্ন ধর্মগুরুরা। মমতা বলেন, ‘‘মনটা রঙিন রাখুন সব ধর্মের জন্য। রং তখনই রঙিন হয় যখন মন বড় হয়।’