উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন (Digha Jagannath Dham)। তার আগে বুধবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মূলত গোটা উদ্বোধনপর্ব যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় তা নিশ্চিত করতেই সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী, আমলা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আধিকারিক, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধি সকলেই ছিলেন বৈঠকে। মমতা এদিন স্পষ্ট করেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বেশি মাত্রায় ভিআইপি অতিথির ভিড় চান না। এমনকি মন্ত্রীদের কারা থাকবেন তাও ঠিক করে দিয়েছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, অরূপ বিশ্বাস, পুলক রায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, ইন্দ্রনীল সেন, স্নেহাশিস চক্রবর্তী ২৭ তারিখই চলে যাবেন দিঘায়। আমলাদের জানিয়ে দিয়েছেন, যাঁরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তাদের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় তা দেখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও কঠোরভাবে রক্ষা করার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
৩০ তারিখ উদ্বোধনের দিন মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। তবে আগের দিন থেকেই চলবে বিশেষ যজ্ঞ। দায়িত্বে থাকবেন পুরীর মন্দিরের সেবায়েত রাজেশ দ্বৈতাপতি। ২৯ তারিখ দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যাবেন। ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, অদিতি মুন্সির মতো তারকা উপস্থিতিও থাকছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন মন্দিরে সোনার ঝাড়ু তিনিই দান করবেন। সেই জন্য ৫ লক্ষ ১ টাকা দান করবেন তিনি। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রার আগে যেমন সোনার ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা ঝাঁট দেওয়া হয় এখানেও তেমনটা করা হবে। এছাড়া পুরীর মন্দিরের মতো থাকবে শুকনো প্রসাদের ব্যবস্থাও। তবে পুরীর খাজা এখানে থাকবে না, বদলে থাকবে গজা ও কালীঘাটের প্যাড়া। পুরীর মন্দিরের ধাঁচে ধ্বজা উত্তোলনের ব্যবস্থাও হবে এখানে। সাধারণ মানুষ যাতে ধ্বজা দান করতে পারেন সেই জন্য ধ্বজার দোকানও তৈরি হবে। সব মিলিয়ে সৈকত শহর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ধাঁচেই দিঘার সৈকতে গড়ে উঠতে চলেছে বাংলার জগন্নাথ ধাম।
রাজনৈতিক মহলের ধারনা, মন্দির উদ্বোধনকে কিছুটা হলেও অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের মতোই মেগা ইভেন্টের পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। খানিকটা বিজেপিকে টেক্কা দেওয়ার রাজনীতিও রয়েছে এর মধ্যে। পাশাপাশি ২০২৬ সালের আগে এতবড় আকারে মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে হিন্দু ভোটারদের প্রতি প্রচ্ছন্ন বার্তাও থাকছে।