উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘যতদিন আমি রয়েছি, ততদিন আদিবাসীদের কোনও অধিকার কেড়ে নিতে দেব না।’ জঙ্গলমহল প্রসঙ্গে বাম ও বিজেপিকে এভাবেই তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার ঝাড়গ্রামের (Jhargram) গোপীবল্লভপুরের (Gopiballabpur) গজাশিমূল ময়দানে তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেনের সমর্থনে নির্বাচনি সভা (Vote Campaign) করেন মমতা। সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘একসময় যারা সিপিএমের হার্মাদ ছিল, তারাই এখন বিজেপিতে। জঙ্গলমহলে ওদের ঢুকতে দেবেন না। ওরা এলে আবার মা-বোনেদের কাঁদাবে। আবার গুলি ছুটবে। সব কিছু অশান্ত করে দেবে। মনে আছে জঙ্গলমহলের গল্প, পিঁপড়ের ঝোল খেয়ে মানুষ বেঁচে থাকত। আমি গিয়েছিলাম বেলপাহাড়ির জো গ্রামে। লুকিয়ে একটা স্কুটারে করে গিয়ে দেখেছিলাম, মানুষ কত কষ্টে জীবন নির্বাহ করেন।’
মমতা আরও বলেন, ‘যতদিন আমি রয়েছি ততদিন আদিবাসীদের কোনও অধিকার কেড়ে নিতে দেব না। জঙ্গলমহলের শান্তিও কাউকে নষ্ট করতে দেব না।’ তাঁর কথায়, ‘একসময় বোমা-গুলি বারুদের গন্ধে ভারী হয়ে থাকত জঙ্গলমহলের বাতাস। দিনে রাতে পড়ত লাশ। অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল লালগড়-সহ সমগ্র জঙ্গলমহল। পালা বদলের বাংলায় সেই জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরেছে।’
তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, ‘সেটা ২০০৮ সাল। বাম জমানা। তখন ভয়ে কেউ জঙ্গলমহলে আসত না, তখন কিন্তু আমি এসেছি। ছত্রধর মাহাতোর হাত ধরে আমি প্রথম জঙ্গলমহলে ঢুকছিলাম। পিড়াকাটা, ভাদুতলায় আমাকে বহুবার আটকানো হয়েছে। তবু আমি থামিনি।’ দেড় দশক আগের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘লালগড়ে ছিতামনি মুর্মুর কান কেটে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় গুলিতে তিনজন মারা গিয়েছিল। তখন থেকেই আমার জঙ্গলমহলে আসা।’
ঝাড়গ্রামে এবার যিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তিনি পেশায় সরকারি চিকিৎসক। চাইলে প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে তাঁর ছাড়পত্র আটকে দিতে পারতেন, একথা জানিয়ে মমতা বলেন, ‘সেটা করিনি। কারণ, যার বেশি লোভ সে টাকা করে আসুক।’ এরপরই মমতা বলেন, ‘এলাকায় ডাক্তার নেই। উনি ভোটে লড়লে ডাক্তারি কে করবে? মানুষ পরিষেবা কোথায় পাবেন?’