ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন, যার মধ্যে লক্ষীর ভাণ্ডার ছিল অন্যতম। যথারীতি রাজ্যে জয় পাওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী তড়িঘড়ি লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেন। কিন্তু এই লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে যেমন প্রাপকের সংখ্যা বেড়েছে, ঠিক সেরকমই প্রকল্পের খরচও বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এক মাসে তৃতীয় বারের জন্য রাজ্য সরকার ধার নিল খোলা বাজার থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা। শুধু জানুয়ারি মাসেই রাজ্যের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৬৫০০ কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদদের মতে, রাজ্য সরকার যেভাবে পরিকল্পনা বহির্ভূত খরচ বাড়িয়ে চলেছে, তাতে সামাল দিতেই বাড়ছে ধারের পরিমাণ। এই অবস্থায় যদি রাজ্যের দেনা এবং গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রডাক্ট অনুপাত ৫০% হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে রাজ্যে এই অনুপাত রয়েছে ৩০%। এই বিপুল পরিমাণ ধার কিভাবে শোধ করবে রাজ্য সরকার, এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন : রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ব্রাত্য বসু