সামসী: বৃষ্টির দেখা নেই অনেকদিন। অনাবৃষ্টিতে আমের বোঁটা শুকিয়ে যাচ্ছে। এরফলে গাছের আম অকালেই ঝরে পড়ছে। যার দরুণ আমের ফলন মার খাবে। তাই কপালে চিন্তার ভাঁজ সামসী, রতুয়া, চাঁচল সহ গোটা উত্তর মালদার আম চাষিদের।
চাঁচল ১ ব্লকের কলিগ্রাম এলাকার বরতর ও রামনগর এলাকার আমবাগানগুলিরও একই অবস্থা। কলিগ্রাম এলাকার বরতর ও রামনগর এলাকার আমবাগান গুলিতে প্রতিদিনই ঝরে পড়ছে আম। জলের অভাবে আমের বোটা শুকিয়ে যাচ্ছে। বাগান কিনে যারা আমের ব্যবসা করেন, তাঁদের গলাতেও আক্ষেপের সুর। এক আম চাষি মহম্মদ আশা মিস্ত্রীর কথায় শোনা গেল, বৃষ্টি হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে গাছ আম শূন্য হয়ে পড়বে।
জানা গিয়েছে, বরতর ও রামনগর সবমিলিয়ে প্রায় ৭০ একর জমিতে পাঁচ শতাধিক আম গাছ রয়েছে। সব গাছেই একই সমস্যা। বৃষ্টি কখন হবে সেই অপেক্ষায় রয়েছেন চাষিরা। এই মুহূর্তে অকালে ঝরে পড়া থেকে গাছের আম বাঁচানোর জন্য জলসেচ দরকার। এদিকে, জলসেচ করার ক্ষেত্রেও চরম সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা। তীব্র গরমে পুকুর, খাল, বিলের জল শুকিয়ে গিয়েছে। আবার কারও জলভর্তি পুকুরে মাছ চাষ করা হচ্ছে।সেক্ষেত্রে পুকুর মালিকরাও সেই জল দিতে নারাজ। তাছাড়া ডিজেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় মাঠের পাম্পসেট গুলিতে চড়া দামের ডিজেল পুড়িয়ে জলসেচের হওয়ায় সেচ ক্ষেত্রে একটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। তবুও ঋণ নিয়ে জলসেচ করতে হচ্ছে চাষিদের।
জেলার আম বিশেষজ্ঞ কমল কৃষ্ণ দাস সাফ জানিয়েছেন, প্রচণ্ড খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে আম গাছ পর্যাপ্ত জল পাচ্ছে না। সরস না হওয়ার কারণে আমের বোঁটা শুকিয়ে অকালে আম ঝরে পড়ছে। পাশাপাশি গরমে আমে পোকার আক্রমণও ঘটছে। এই মুহূর্তে বৃষ্টি দরকার। আর বৃষ্টি না হলে কষ্ট করে হলেও জলসেচের মাধ্যমে গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত জল দিতে হবে। আর পোকাকে দমন করার জন্য কীটনাশক প্রয়োগ না করে নিম পাতা ফুটিয়ে গাছে স্প্রে করলে খুব ভালো কাজ হবে।