উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়ে চোখে জল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। এদিন তিনি আদালতে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করেন। জানান, চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন যে তাঁর আর বেশিদিন আয়ু নেই। তিনি বলেন, “২০১৬ সালে অস্ত্রোপচার করানো হয়েছিল। সেই সময় চিকিৎসকরা বলেছিলেন, আমি আর ১০ বছর বাঁচব। ওই চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি আমার কাছে রয়েছে। অর্থাৎ, ২০২৬ সালে আমি মরে যাব। এর মধ্যে প্রায় দু’বছর জেলে খেটে ফেললাম। এ বার আমাকে জামিন দেওয়া হোক।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ইডি দপ্তরে রাতভর জেরা করার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যকে। এরপর গ্রেপ্তার হন তাঁর স্ত্রী-পুত্রও। তবে স্ত্রী ও ছেলের জামিন হলেও এখনও জামিন পাননি মানিক ভট্টাচার্য। হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট করেও কোনও সুরাহা হয়নি। এদিন তাই নিজেই নিজের জামিনের সওয়াল করতে গিয়ে বার বার কেঁদে ফেলেন মানিক। তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হোক বলে আর্জি জানান তিনি। মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে রাখার কী প্রয়োজন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ তা ইডির কাছে জানতে চান। আগামী শুক্রবার বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে ওই বিষয়ে সওয়াল করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।