উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। কি কারণে তাদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে তা রায়ে বিস্তারিত লিখেছেন বিচারপতি। কী ভাবে অ্যাপটিটিউড টেস্টের নামে প্রহসন হয়েছে তা বিস্তারে তুলে ধরেছেন তাঁর রায়ে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের পর্যবেক্ষণ একেবারেই সঠিক বলে মনে করছেন ওই বছর ইন্টারভিউয়ের দায়িত্বে থাকা এক প্রাক্তন শিক্ষক অধুনা ওষুধ ব্যবসায়ী নিত্যানন্দ পাল। একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, আদালতের রায় সঠিক পথে এগিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে নিত্যানন্দ পাল নামে ওই অবসপ্রাপ্ত শিক্ষক জানিয়েছেন, ২০১২ সালে শিক্ষকতার পদ থেকে স্বেচ্ছাবসর নিই। তখন আমি তৃণমূলের শিক্ষক সেলের দার্জিলিং জেলার দায়িত্বে ছিলাম। প্রাক্তন শিক্ষক হওয়ায় আমাকে ইন্টারভিউ বোর্ডে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আমার ওপরে যে ৬০ – ৬২ জনের ইন্টারভিউ নেওয়ার ভার ছিল তাদের কারও প্রশিক্ষণ ছিল না। অথচ আমরা জানতাম, প্রশিক্ষণ থাকা বাধ্যতামূলক। এক জন প্রার্থীর ইন্টারভিউ নিতে ৫ – ৬ মিনিট লেগেছে। কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্টের বালাই ছিল না। অ্যাপটিটিউড টেস্টের জন্য চক – ডাস্টার ব্ল্যাক বোর্ড লাগে। সেসব কিছুই সেখানে ছিল না।
এর পরই আরও বিস্ফোরক দাবি করেন নিত্যানন্দবাবু। তিনি বলেন, ‘যেদিন ইন্টারভিউ হয়েছিল সেদিন জেলাতেই ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। পরীক্ষা শেষ হলে তিনি পরীক্ষাকেন্দ্রে আসেন। আমি সহ অন্যান্য পরীক্ষকদের কাছ থেকে নম্বর লেখা কাগজগুলো তিনি নিয়ে যান। অথচ সেই কাগজ জমা পড়ার কথা ছিল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে’। তাঁর আশঙ্কা, অযোগ্যদের কাছে চাকরি বিক্রি করতেই হয়তো নম্বর লেখা কাগজগুলি আগেভাগে হস্তগত করেছিলেন মানিক। এমনকী সিবিআই ডাকলে তিনি হাজিরা দিতেও প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন নিত্যানন্দবাবু।