কোচবিহার: কখনও নম্বর প্লেটের একটি নম্বর ব্ল্যাক টেপ দিয়ে ঢেকে দিয়ে, আবার কখনও নম্বর প্লেট খুলে দিয়ে বেপরোয়াভাবে বাইক চালাচ্ছেন একদল তরুণ। তবে বসে নেই ট্রাফিক পুলিশও। তারাও এবিষয়ে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু নম্বর প্লেট ঢেকে রাখার আসল কারণ কী?
আসলে বাইক চালানোর সময় গাড়ির কাগজপত্র ঠিক না থাকলে কিংবা মাথায় হেলমেট না থাকলে সেই চালককে আটকে জরিমানা করার দিন শেষ। উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে এখন ট্রাফিক পুলিশ চলন্ত মোটরবাইকের নম্বর প্লেট স্ক্যান করে নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে জরিমানা এবং চিঠি পাঠিয়ে দিচ্ছে। সেই কারণে ট্রাফিক পুলিশের হাত থেকে বাঁচতেই এমনটা করছেন কেউ কেউ। ওসি ট্রাফিক (সদর) সুরেশ দাস বলেন, ‘কেবলমাত্র ব্ল্যাকটেপ দিয়ে নয়, কখনও নম্বর প্লেটও খুলে রাখা হচ্ছে। এরকম হলে সেই বাইকগুলি চিহ্নিত করে সেগুলি থানার হাতে তুলে দিচ্ছি।’
ঘড়িতে তখন তিনটে পেরিয়েছে। সাগরদিঘির শহিদবাগের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল একটি বাইক। সামনে যেতেই দেখা গেল বাইকের নম্বর প্লেটের একটি সংখ্যা মাটি লাগিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। সেসময় ওই চত্বরে কোনও ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় বরাতজোরে বাঁচেন ওই বাইকচালক। সম্প্রতি বাঁধ লাগোয়া সেচ দপ্তর এলাকায় নম্বর প্লেটহীন এক বাইকচালককে ধরে ট্রাফিক পুলিশ। তার কিছুদিন আগে বাইকের নম্বর প্লেটের একটি সংখ্যা ব্ল্যাকটেপ দিয়ে ঢেকে দেওয়ায় সেই চালককে পুলিশ জরিমানা করে।
তবে শুধু বাঁধ এলাকাই নয়, সাগরদিঘি চত্বর কিংবা কেশব রোড সহ বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের দৃশ্য নজরে পড়েছে। সাধারণত গুঞ্জবাড়ি মোড় এলাকায় দিনের বেশিরভাগ সময়ে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকে। দুপুর নাগাদ রাস্তা দিয়ে যে মোটরবাইকগুলি যাচ্ছিল সেগুলির নম্বর প্লেট স্ক্যান করছিলেন এক ট্রাফিক পুলিশ। যেসব মোটরবাইকের কাগজপত্রে অসংগতি ছিল, কিংবা যে চালকরা হেলমেট পরেননি তাঁদের ফোন নম্বরে জরিমানার এসএমএস পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎই দেখা যায় এক তরুণের মোটরবাইকের নম্বর প্লেটের একটি সংখ্যা গোবর মাখা অবস্থায়। মাথায় তাঁর হেলমেটও নেই। সেখানে থাকা এক পুলিশকর্মী জানান, নম্বরটি বোঝা না যাওয়ায় অনলাইনের মাধ্যমে জরিমানাও করা যায় না।
পরের ঘটনাটি- শহরের কেশব রোডের রাজবাড়ি পার্কের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে কয়েকটি মোটরবাইক। সেখানে একটি মোটরবাইকে নম্বর প্লেটটি দড়ি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে এমনভাবে যাতে নম্বর প্লেটের দু-তিনটে নম্বরই বোঝা যাচ্ছিল না।