কলকাতা: মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেই দুষলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আগে থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন তিনি। সোমবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এ নিয়ে মমতা বলেন, ‘ওখানে কতজন মারা গিয়েছেন? কত মানুষকে শুট অ্যাট সাইটে মেরেছে? সরকার বলছে না। আমরা উদ্বেগে আছি। সংখ্যাটা অনেক। ক’দিন আগে পর্যন্ত আমি জানতাম সংখ্যা ৬০-৭০। এখন শুনছি অনেক বেশি। কিন্তু সেই সংখ্যা সেখানকার বিজেপি সরকার বলছে না।’
এদিন নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘আমি কারও নাম করছি না। আমি বলছি, মণিপুর তো ওদেরই রাজ্য। একবার যেতে পারত।’ মমতার কথায়, ‘বাংলায় হলে কী করত? কথায় কথায় কেন্দ্রীয় টিম পাঠাচ্ছে। ১৫১ বার সেন্ট্রাল টিম চলে এসেছে বাংলায়।’ মমতার সরাসরি অভিযোগ, ‘মণিপুরের সমস্যা ম্যানমেড। রাজনীতি করতে গিয়ে আগুন জ্বালানো হয়েছে। জাতপাতের নামে রাজনীতি করছিল বিজেপি। আগুন নিয়ে খেলছিল। তাতেই আগুন লেগেছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাতেও ওরা আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু তা রুখে দেওয়া হয়েছে।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে নবান্ন সারাক্ষণ তৎপর। ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম চলছে। সেই কন্ট্রোল রুমের দু’টি যোগাযোগ নম্বর হল- ০৩৩ ২২১৪ ৩৫২৬, ০৩৩ ২২৫৩ ৫১৮৫। মমতা আরও বলেন, ইতিমধ্যে বাংলার ১৮ জনকে বিশেষ বিমানে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখনও অনেকে সেখানে আটকে। দুর্গম দূরত্বের কারণে অনেকে বিমানবন্দর বা রাজধানী ইম্ফল পর্যন্ত আসতে পারছেন না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মণিপুর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগে আছি। তাঁদের বলেছি যাঁরা দূরবর্তী জায়গায় আছেন তাঁদের নিরাপদে বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে।’ রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ যেসব রাজ্যের ছেলেমেয়েরা বাংলা হয়ে নিজেদের রাজ্যে ফিরছেন তাঁদেরও রাজ্য সরকার অস্থায়ী আশ্রয় দিচ্ছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ও অন্যান্য যুব হস্টেলে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা এদিন বোঝাতে চেয়েছেন যে, বিজেপি শাসিত মণিপুরে মানুষ বিপন্ন। সেখানে মানুষকে গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছে। তার সঠিক তথ্য সামনে আনা হচ্ছে না।