প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লি: তৃণমূলের সঙ্গে জোটে নারাজ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের রাজাজি মার্গের বাসভবনে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে পরিষ্কার জানালেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নানরা। সূত্রের দাবি, খাড়গের কাছে এদিন তাঁরা জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের নেতাকর্মী সমর্থকদের ওপর ভয়ংকর অত্যাচার চালাচ্ছে। সেই কারণে তৃণমূলের সঙ্গে ভবিষ্যতে যদি কোনও রকমের জোটের কথা চিন্তাভাবনা করা হয়, সেটা দলের জন্য কতটা উপযোগী হবে তা নিয়েও যেন অতি অবশ্যই ভাবনা চিন্তা করেন জাতীয় নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে খাড়গে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন বলে দাবি করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতারা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন বিকেলে জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ১০, রাজাজি মার্গের বাসভবনে তাঁর সঙ্গে প্রায় ২০ মিনিট বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নান সহ একাধিক শীর্ষ নেতারা। এদিন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আব্দুল মান্নান প্রথমে জানান, ‘এটা নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ। দীর্ঘদিন বাদে দিল্লিতে আসা। তা-ই সকলের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করা।’ রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এক্ষেত্রে উহ্য রাখেন মান্নান। এও বলেন, ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই আসা। কোনও রাজনৈতিক আলোচনা করতে নয়। বহুদিন আমার দিল্লি আসা হয় না। একসময় যথেষ্ট আসা যাওয়া ছিল। সনিয়াজি-রাজীবজির সময় থেকে আসছি। সবাই পুরোনো বন্ধু। খাড়গেজি এখন দলের সভাপতি। তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে চাই।’
মান্নান সাহেবের সংযোজন, ‘আজ বহুদিন বাদে এআইসিসি’তে গিয়েছিলাম। অনেকের সঙ্গে দেখা হল। খাড়গেজি খুব ব্যস্ত ছিলেন, প্রচুর লোকের ভিড়। বাড়ি আসতে বললেন। পবন বনশল, তারেক আনোয়ার, কেসি বেণুগোপালের সঙ্গেও দেখা হল। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও গিয়েছিলেন আমার সঙ্গে। বেশ ভালো লাগল।’
পরে অবশ্য জানা যায়, নিছকই সৌজন্যতার খাতিরে দিল্লি আসেননি মান্নানরা। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ভবিষ্যতে রাজ্যস্তরে কংগ্রেস যেন কোনওরকম রাজনৈতিক ‘গাঁটছড়া’ না বাঁধে, সেই আর্জি নিয়েই প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের এই দিল্লি সফর।