উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গণধর্ষণ কাণ্ডে (Kasba gang rape case) কড়া পদক্ষেপ করল কসবা ল’ কলেজ। মূল অভিযুক্ত ‘এম’ ওরফে মনোজিতকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল। পাশাপাশি কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হল অপর দুই অভিযুক্তকেও (Two students expelled)। ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটি দিন। মঙ্গলবার কলেজের পরিচালনা সমিতি প্রথমবার বৈঠকে বসে। বৈঠকে হাজির ছিলেন কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা বজবজের তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব এবং কলেজের অধ্যক্ষা নয়না চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত সদস্যরা সহমত হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
২০২৪ সালে কসবা ল’ কলেজে অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী পদে চাকরি পেয়েছিলেন মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্র। এমনকি চাকরিতে বহাল হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে মেয়াদ বৃদ্ধিও হয়। এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শিক্ষাকর্মী পদে চাকরি বাবদ যে স্যালারি পেয়েছেন মনোজিত, তা ফিরিয়ে দিতে হবে কলেজকে। পরিচালন সমিতির সদস্য হরিপদ বণিক বলেন, ‘মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা আগেই জানানো হয়েছিল পুলিশকে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এতকিছুর পরও কীভাবে চাকরি তিনি পেয়েছিলেন, তা বলতে পারব না। কলেজে থ্রেট কালচার শুরু করেছিলেন মনোজিতই।’
এরই পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এজেন্সি এবং যে সংস্থা সিসিটিভি (CCTV) লাগিয়েছিল তাদের শোকজ করা হয়েছে। এছাড়াও বৈঠকে বলা হয়েছে, পরিবার যদি চান, তাহলে নির্যাতিতার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করবে কলেজ পরিচালন সমিতি। অন্যদিকে, বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কলেজে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে পঠনপাঠন। উচ্চশিক্ষা দপ্তর এবং কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সবুজ সংকেত পেলেই পুনরায় পঠনপাঠন শুরু হবে। আপাতত কলেজের অফিস খোলা থাকছে। তবে কলেজ পরিচালন সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কলেজ বন্ধ হওয়ার পর কোনও ছাত্রছাত্রীই আর কলেজের ভেতরে থাকতে পারবেন না।