উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে এখনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। প্রতিনিয়ত চলছে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা। সাম্প্রতিক গাইডলাইনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে শিশুদের কোভিড চিকিৎসা নিয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় সতর্ক থাকতে হবে। যেহেতু কড়া ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে অ্যান্টিভাইরাল ও মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি প্রয়োগে বারণ করা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ কোনও রোগীর বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয় সেক্ষেত্রেও এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। স্টেরয়েডের ব্যবহারও খুব কম মাত্রায় বুঝে করতে হবে বলে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি পাঁচ বছরের নীচে শিশুদের মাস্ক ব্যবহার না করার কথাও বলা হয়েছে। এছাড়াও ৬ থেকে ১১ বছর বয়সিরা মাস্ক ব্যবহারের সুবিধা বিচার করে অভিভাবকদের নজরদারিতে তা করতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তবে ১২ বছরের বেশি বয়সিরা বড়দের মতো নিয়ম মেনেই মাস্ক পড়বে বলে জানানো হয়েছে। তবে শিশুরা করোনামুক্ত হওয়ার পরও তাঁদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে। যথাযথ টিকাকরণ (যোগ্য হলে), মানসিক খেয়াল রাখার কথাও জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। এদিকে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের এই পর্যায়ে দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরল, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশকে বিশেষ উদ্বেগজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে এই রাজ্যগুলিকে কোভিড পরিস্থিতি গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ একথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : কোভিডবিধি মেনে ২৪ জানুয়ারি থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত