উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : অপারেশন সিঁদুরে নিহত হয়েছে মাসুদ আজহারের দুই শ্যালক। এমনই দাবি করা হয়েছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে। ৭ মে গভীর রাতে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। সেদিন বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। প্রত্যাঘাতে নিহত পাঁচজন শীর্ষ জঙ্গির নাম শনিবার প্রকাশ্যে এসেছে।
ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছে মুদাস্সার খাদিয়ান খাস, হাফিজ মহম্মদ জামিল, মহম্মদ ইউসুফ আজহার, খালিদ (আবু আকাশা) এবং মহম্মদ হাসান খান। লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ – দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গেই তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। মুদাসসর খাদিয়ান খাস লস্কর-ই-তৈবার একজন শীর্ষ সন্ত্রাসবাদী। সে আবু জুন্দাল নামেও পরিচিত। জঙ্গি সংগঠনের সদর দপ্তর মুরিদকেতে মারকাজ তৈবার দায়িত্বে ছিল। শেষকৃত্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাকে গার্ড অফ অনার দেয়। সেদিন উপস্থিত ছিলেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ।
অন্যদিকে, হাফিজ মহম্মদ জামিল জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সে জইশের প্রধান মাসুদ আজহারের বড় শ্যালক এবং বাহওয়ালপুরের মারকাজ সুবহান আল্লার নেতৃত্বে ছিল। উগ্রপন্থী মতবাদ প্রচার এবং জঙ্গি গোষ্ঠীর জন্য তহবিল সংগ্রহের দায়িত্বে ছিল হাফিজ।
অপারেশন সিঁদুরে নিহত হয়েছে মাসুদ আজহারের আরেক শ্যালক ইউসুফ আজহার। সে ওস্তাদ জি, মহাম্মদ সেলিম বা ঘোসি সাহাব নামেও পরিচিত। জম্মু ও কাশ্মীরে বহু জঙ্গি হামলার নেপথ্যে ছিল ইউসুফ। আইসি-৮১৪ ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স হাইজ্যাকের ঘটনাতেও তার যোগ ছিল।
ভারতের অভিযানে মৃত্যু হয়েছে লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার খালিদ ওরফে আবু আকাশার। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে তার। ফয়সালাবাদে তার শেষকৃত্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলার ডেপুটি কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। ভারতের প্রত্যাঘাতে জইশ-ই-মহম্মদের আরেক শীর্ষ জঙ্গি মহম্মদ হাসানও খান নিহত হয়েছে।