ঘোকসাডাঙ্গাঃ চোপড়া কাণ্ডের পর মঙ্গলবার কয়েক ঘণ্টার জন্য শিলিগুড়িতে এসেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। চোপড়ায় রাজ্যপাল না গেলেও শিলিগুড়িতে বোসের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন মাথাভাঙ্গার ২ ব্লকের রুইডাঙ্গার নির্যাতিতা। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পরদিনই অর্থাৎ বুধবার মাথাভাঙ্গা আদালতে জবানবন্দি দিলেন নির্যাতিতা বিজেপি নেত্রী। এদিকে এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে কোচবিহারে এসেছে জাতীয় মহিলা কমিশন এর এক প্রতিনিধি দল। নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। নির্যাতিতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করছে। এদিকে পুলিশের দাবি, নির্যাতনের ঘটনাটি পারিবারিক বিবাদ। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। তবে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট সাত জন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। এই নিয়ে ঘটনার পর পুলিশ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের দাবি, বিজেপি নেত্রীর ওপর নির্যাতনের ঘটনাটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। নির্যাতিতা বলে যে মহিলাকে সবার সামনে তুলে ধরা হচ্ছে, তাঁর বাড়ির সামনে তারই কিছু আত্মীয়ের সঙ্গে তার মারামারি হয়। এর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ছড়িয়ে ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রং দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২৫ জুন মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙামাটি এলাকায় বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের জেলা কমিটির এক সদস্যকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। তারপর ওই নির্যাতিতা কোচবিহার এমজেএন সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভর্তি হন। এই ঘটনায় নাম জড়ায় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে ফোনে কথা হয় নির্যাতিতা নেত্রীর। ঘটনার পরেই কোচবিহারে আসে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সহ জেলার মহিয়া বিজেপি নেতৃত্ব। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন নির্যাতিতা। আর তারপরেই এদিন সকালে ওই নির্যাতিতা ঘোকসাডাঙ্গা থানায় আসেন। ঘোকসাডাঙ্গা পুলিশ তাকে মাথাভাঙ্গা আদালতে পাঠানো ব্যবস্থা করে। সেখানেই তিনি জবানবন্দি দেন।