স্বপনকুমার চক্রবর্তী, বামনগোলা: উইলিয়াম কেরির স্মৃতিবিজড়িত মদনাবতীর নীলকুঠির ভগ্নাবশেষ মানুষের আগ্রহ রয়েছে। অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ততটা আগ্রহ নেই। শালমাহার মোড় থেকে মদনাবতী যাওয়ার রাস্তা বেহাল। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বর্ষায় দুর্ভোগ আরও বাড়ে। মদনাবতীতে আসা পর্যটকেরা রাস্তা দেখে বিস্মিত হন।
বামনগোলা ব্লকের নালাগোলা-ঢিটলহাট রাজ্য সড়কের মাঝে শালমাহার মোড়। এখান থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে মদনাবতী গ্রাম। গ্রামে ঢোকার মুখেই মেঘডুমরা দিঘি। আর এই দিঘির পাড়েই নীলকুঠির ভগ্নাবশেষ।
মদনাবতী ঢোকার পথে দেখা হল পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা তথা প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সাইফুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘উইলিয়াম কেরির স্মৃতিবিজরিত নীলকুঠির ভগ্নাবশেষ মদনাবতীকে ইতিহাসে জায়গা করে দিয়েছে। অথচ ইতিহাস সমৃদ্ধ এই গ্রামে যেতে শালমাহার মোড় থেকে মদনাবতী পর্যন্ত রাস্তার সামান্য কিছু বাদে পুরোটাই বেহাল হয়ে রয়েছে। পর্যটকদের ভীষণ সমস্যায় পড়তে হয়। মদনাবতী এবং মদনাবতী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদেরও দুর্ভোগের সীমা থাকে না। আর বর্ষায় এই বেহাল রাস্তায় যাতায়াতে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। আজও এই রাস্তার পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হল না।’
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইতিহাস সমৃদ্ধ এই মদনাবতী গ্রামে যাওয়ার বেহাল রাস্তা সংস্কার করলে ইতিহাসের টানে আসা পর্যটকদের পাশাপাশি উপকৃত হতেন এলাকার মানুষও। পূর্ণাঙ্গ সংস্কারে প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা।