নিউজ ব্যুরো: শুরু হল জলজ পরিযায়ী পাখি (Migratory Birds) গণনার কাজ। বন দপ্তর বুনিয়াদপুরে (Buniadpur) কুশমণ্ডি রেঞ্জের উদ্যোগে রবিবার সকাল থেকে জলজ পাখি গণনায় মাঠে নামে বন দপ্তরের সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর বার্ডার্স ক্লাবের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন ফরেস্ট রেঞ্জের অফিসার জয়প্রকাশ রায়, বার্ডার্স ক্লাবের প্রতিনিধি চন্দন পান্ডে, রাজশ্রী চৌধুরী, দেবজিৎ সরকার, দীপঙ্কর ঘোষ প্রমুখ। এদিন কুশমণ্ডি রেঞ্জের অধীন কালদিঘি, ধলদিঘি, মহিপালদিঘি, করণবিল ও মালিয়ানদিঘিতে এই গণনার কাজ চলে। ২৪ থেকে ২৫ প্রজাতির ৯৭০টি পরিযায়ী পাখি গণনা করা এদিন সম্ভব হয়েছে। এদিন বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিযায়ী পাখিদের শনাক্ত করা গেছে। যারমধ্যে গ্রিন উইনটি, সেরুজিনাস ডাক, গাড ওয়াল, গ্রে হিরণ, পার্পল হিরণ, কটন পিজমিগুস ও গ্রে ল্যাগগুসের মতো প্রজাতির পরিযায়ী পাখি রয়েছে। এদিন পাখি গণনার পাশাপাশি জলজ পাখি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। এছাড়াও পাখি শিকার করলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে কী ধরনের সাজা হতে পারে সেই সম্পর্কেও অবগত করা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই পাখি গণনায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে উত্তর দিনাজপুর পিপল ফর অ্যানিমালস, রায়গঞ্জ পিপল ফর অ্যানিমালস, হিমালয়ান মাউন্টেইনারস অ্যান্ড ট্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং নর্থবেঙ্গল ফোটোগ্রাফি ক্লাব। এই পাখি গণনা চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
কুশমণ্ডি রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার জয়প্রকাশ রায় জানান, ‘এই পাখি গণনায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর বার্ডার্স ক্লাব। এই পাখি গণনা চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।’
তবে জানুয়ারিতেও গঙ্গারামপুরের দিঘি ও জলাশয়গুলিতে আসেনি পরিয়ায়ী পাখির দল। পাখি গণনা করতে বেরিয়ে তাই মনখারাপ পরিবেশ ও পাখিপ্রেমীদের।
পাখি বিশেষজ্ঞ চন্দন পান্ডে বলেন, ‘আজ কালদিঘিতে যে পাখিগুলো পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি হল গ্রে ল্যাগগুস বা কাদম্ব হাঁস। এগুলি আসে মধ্য এশিয়া ও এশিয়া মাইনর থেকে। কালদিঘিতে নিয়মিত শীতে পরিযায়ী হয়ে আসে পাখিগুলি। এবার আশা করা গেছিল গতবারের মতো এবারও পাখিগুলো দেখা যাবে। কিন্তু হতাশাজনকভাবে এবার এখনও পর্যন্ত কালদিঘিতে এদের দেখা পাওয়া যায়নি। সবচেয়ে হতাশাজনক অবস্থা ধলদিঘির।’
শীতকালীন জলজ পাখি গণনায় শনিবার রায়গঞ্জ রেঞ্জের তত্ত্বাবধানে শুরু হল পাখি গণনা। শনিবার সকালে ২টি দলে ভাগ হয়ে ৪টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং বন দপ্তরের কর্মীরা নিহারি বিল, দ্বীপরাজার পুকুর, লাহিড়ির পুকুর, পিরপুকুর, বাহিন, চাপদুয়ার, নওদা, বাহরাইল, ঝিটকিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর, পলিটেকনিকের পুকুরে পাখি গণনায় নামেন। পাখি গণনায় এসে স্বেচ্ছাসেবকেরা জানান, এখানকার অনেক পুকুর পরিষ্কার হয়েছে, বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে, লুকিয়ে পাখি শিকার হচ্ছে বলে এবার পাখির সংখ্যা কম।
শীতকালীন জলজ পাখি গণনায় শনিবার রায়গঞ্জ রেঞ্জের তত্ত্বাবধানে শুরু হল পাখি গণনা। শনিবার সকালে ২টি দলে ভাগ হয়ে ৪টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং বন দপ্তরের কর্মীরা নিহারি বিল, দ্বীপরাজার পুকুর, লাহিড়ির পুকুর, পিরপুকুর, বাহিন, চাপদুয়ার, নওদা, বাহরাইল, ঝিটকিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর, পলিটেকনিকের পুকুরে পাখি গণনায় নামেন। পাখি গণনায় এসে স্বেচ্ছাসেবকেরা জানান, এখানকার অনেক পুকুর পরিষ্কার হয়েছে, বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে, লুকিয়ে পাখি শিকার হচ্ছে বলে এবার পাখির সংখ্যা কম।