উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ফিটনেস আইকন এবং সুপারমডেল মিলিন্দ সোমান আজ ৬০ বছর পূর্ণ করলেন। এই বিশেষ দিনে তাঁর স্ত্রী অঙ্কিতা কোনওয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অত্যন্ত আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করেছেন, যা ইন্টারনেটে দ্রুত ভাইরাল হয়েছে। তবে পোস্টের বার্তা ছাপিয়ে বেশি নজর কেড়েছে একটি ছবি, যেখানে দেখা যাচ্ছে, মিলিন্দ সোমান এক অচেনা সমুদ্র সৈকতে তাঁর স্ত্রী অঙ্কিতাকে কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে মিলিন্দ সোমানকে খালি গায়ে তাঁর চিরপরিচিত ড্যাশিং লুকে দেখা যাচ্ছে, যেখানে তিনি তাঁর স্ত্রীকে সাবলীলভাবে কাঁধে তুলে নিয়েছেন। বিকিনি পরিহিতা অঙ্কিতা কনওয়ারকে এই ছুটির মুহূর্তে আনন্দ উপভোগ করতে দেখা যাচ্ছে। ছবির এই ঘনিষ্ঠতা এবং স্বাচ্ছন্দ্য দ্রুত নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
মিলিন্দের ৬০তম জন্মদিনে অঙ্কিতা যে দীর্ঘ নোটটি লিখেছেন, তা কেবল একটি শুভেচ্ছা বার্তা নয়, বরং স্বামীর প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করছেন নেটিজেনরা। তিনি মিলিন্দের সদয় স্বভাবকে ‘নীরব বিপ্লবের মতো প্রবহমান’ বলেও বর্ণনা করেছেন।
অঙ্কিতা লেখেন, ‘মিলিন্দের ভালোবাসা নরম নয় বরং স্থির ও তীব্র, যা রক্ষা করে, ধরে রাখে এবং কখনও হাল ছাড়তে জানে না।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, মিলিন্দ দশকের পর দশক ধরে কৃতিত্বের প্রত্যাশা না রেখে অনেকের জীবন বদলে দিয়েছেন এবং প্রতিটা স্থান ও মানুষকে আরও ভালো করে তুলেছেন। তাঁর মতে, মিলিন্দের উপস্থিতি একটি ‘আলোকমিনার’-এর মতো এবং তাঁর সোনার মতো হৃদয় যেন একটি ‘দিকনির্দেশক’।
অঙ্কিতা নিজের আশা ব্যক্ত করে লেখেন, “আমি যদি ৬০ বছর বয়সে তোমার আগুন, তোমার বিশ্বাস এবং তোমার অপ্রতিরোধ্য শক্তি বহন করতে পারি, তবে নিজেকে ধন্য মনে করব।” শেষে অঙ্কিতা দৃঢ়ভাবে বলেন, “তুমি এমন বিরল, যাকে সাধারণত্ব কখনও স্পর্শ করতে পারে না।”
এই দম্পতি ভ্রমণ এবং ফিটনেস নিয়ে বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রে থাকেন। কিছুদিন আগে অঙ্কিতা তাঁর এক পোস্টে মিলিন্দের অনুপ্রেরণার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, যেখানে মানুষ ম্যারাথনের জন্য মাসের পর মাস প্রশিক্ষণ নেয়, সেখানে মিলিন্দ একটি ছুটির মধ্যে মাত্র ছয় দিনে তাঁকে তাঁর প্রথম সম্পূর্ণ ম্যারাথনের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। এমনকি পায়ে ফোসকা থেকে রক্তপাত হওয়া সত্ত্বেও মিলিন্দ তাঁর পাশে পুরোটা দূরত্ব দৌড়েছিলেন, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন অঙ্কিতা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন। ২০১৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া মিলিন্দ সোমান ‘১৬ ডিসেম্বর’, ‘শেফ’ এবং ‘বাজিরাও মাস্তানি’-এর মতো চলচ্চিত্রের জন্য সুপরিচিত। দম্পতির নতুন এই ছবি এবং অঙ্কিতার হৃদয়গ্রাহী বার্তা তাঁদের অটুট বন্ধনকে আরও একবার প্রমাণ করল বলেই মত তাঁদের অনুরাগীদের।

