অনীক চৌধুরী, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভা অফিসের সামনে প্রায় ২০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল গান্ধি মিনি মার্কেট। প্রথমে এক তলা তৈরি করে স্টল বিলি করা হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় তলের কাজ শুরুর কথা থাকলেও আজও সেই কাজে হাত পড়েনি। কিছু জায়গায় ঝুরঝুরিয়ে খসে পড়ছে পলেস্তারা। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। মিনি মার্কেটের পাশেই মহাত্মা গান্ধির মূর্তি রয়েছে। এই মূর্তির মুখ গাছের ডালপালাতে ঢেকেছে। স্থানীয় স্টল মালিকরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন।
মোহন বোস জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে থাকাকালীন ২০০৬ সালে গান্ধি মিনি মার্কেটের উদ্বোধন হয়। এই মাকের্টে দোতলা করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মার্কেট উদ্বোধনের প্রায় ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও দোতলার জন্য একটি ইটও গাঁথা হয়নি। মার্কেটে বর্তমানে সাতটি দোকান রয়েছে। দোকানগুলি থেকে পুর কর্তৃপক্ষ ভাড়া পেলেও এই ভবনের পরিকাঠামোর বিকাশ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সেখানকার ব্যবসায়ীরা। একটি সরাইপাতি দোকানের মালিক দীনেশ রাউত বলেন, ‘অনেকদিন ধরে মিনি মার্কেটের সংস্কার হয়নি। আমরা অনেকবার একটি শৌচাগার তৈরির আবেদন করলেও আজও তা হয়নি। কিছু জায়গায় প্লাস্টার খসে গিয়েছে। পুরসভার থেকে আশ্বাস মিলেছে দ্রুত সংস্কার হবে।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকানিদের বক্তব্য, এত বছরে পুরসভা এই জায়গা সংস্কার করে দ্বিতীয় তল তৈরি করে দিতে পারত। তাহলে স্টলের ভাড়ায় পুরসভার আয় আরও বাড়ত। এই জায়গার উন্নয়ন আরও ভালো হত। মিনি মার্কেটের একটি দোকানে ফোটোকপি করতে আসা অরবিন্দ সেনগুপ্ত বলেন, ‘এই মার্কেটটি দেখে খারাপ লাগে। বেশকিছু জায়গায় ফাটল রয়েছে। প্লাস্টারও খসেছে। শ্যাওলা জমেছে বাইরের দিকে। রাতে দেখলে অনেকটা ভূতুড়ে বাড়ি মনে হয়। সংস্কার না হলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এটা পুরসভার ভাবা উচিত।’
উল্লেখ্য শুধু এই মিনি মার্কেটে নয়, কিছুটা এগিয়ে নয়াবস্তি মোড়ের কাছে থাকা বিবেকানন্দ মিনি মার্কেটও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে রয়েছে। মাঝেমধ্যেই বড় পাথরের চাঁই ভবন থেকে ভেঙে পড়ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাকে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে কেনাকাটা করতে হচ্ছে। পুর কর্তৃপক্ষ এই মিনি মার্কেটের সংস্কারের বিষয়ে বিগত পাঁচ বছরে বহু প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনও প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেনি। এ বিষয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, ‘মিনি মার্কেটের ওপরে এখনই কোনও ঘর বানানো ঠিক নয়। আগে সংস্কার প্রয়োজন। আমরা ডিপিআর তৈরি করে রাজ্যে পাঠিয়েছি। পুর কর্তৃপক্ষের আর্থিক সংস্থান হলে নিশ্চিতভাবে গান্ধি মার্কেটের পরিকাঠামোর উন্নয়নে কাজ করা হবে।’