কিশনগঞ্জঃ পুলিশের ভয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করল নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্ণিয়ায়। মৃত যুবকের নাম মহম্মদ ফয়জল। আত্মহত্যার আগে পর্যন্ত ফয়জল পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপণ করেছিল। মৃতের পরিবারের অভিযোগ ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ দেওয়ার কারণেই লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে ফয়জল।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মহম্মদ ফয়জল ও তাঁর দুই বন্ধু মিলে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে পূর্ণিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তা নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। অভিযোগ ফয়জলের পরিবারের দাপটে অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। পরবর্তীতে ‘লাভ জেহাদের’ অভিযোগ এনে পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বজরং দল ও বিএসপি। এদের চাপে পড়ে ফয়জল ও তাঁর বন্ধুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ নিতে বাধ্য হয়।
এদিকে দুই পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করে বলে সূত্রের খবর। বিষয়টি মিটিয়ে নিতে মেয়েটির পরিবার ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে বলে জানায় ফয়জলের পরিবার। পরিবারের দাবি এই টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন ফয়জল।
মৃতের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতা মেয়েটি বাকিতে ফয়জলের মুদি দোকান থেকে মাল নিতো। টাকা যাতে ফেরত দিতে না হয়, সেই কারণেই মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে মেয়েটি ও তাঁর পরিবার। আর সেকারণেই লজ্জায় প্রাণ দিতে হল ফয়জলকে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পুস্কর কুমার জানান, পূর্নিয়ার চুনাপুর এলাকার এই বিতর্কিত মামলাটির পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।