মেখলিগঞ্জ: এক নাবালিকাকে ধর্ষণের (Minor rape case) অভিযোগ উঠল তিনজন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। লাগাতার ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant) হয়ে পড়েছে বছর পনেরোর ওই নাবালিকা। ঘটনাটি কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের (Mekhliganj)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাবা-মা কৃষি শ্রমিক। তাঁরা মেয়েকে বাড়িতে রেখেই কাজে বেরিয়ে যেতেন। যার বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিলেন সেই বৃদ্ধই নানান অছিলায় নাবালিকাকে একা পেয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে। এই ঘটনা জানার পর আরেক বৃদ্ধও সুযোগ নিয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। দুজনের কীর্তি জানার পর তৃতীয় আরেক বৃদ্ধও প্রশাসন বা বাড়ির লোককে জানানোর বদলে নিজেও সুযোগ নিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। এমনকি ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে নাবালিকার মা-বাবাকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এভাবেই তিনজন মিলে দিনের পর দিন ওই নাবালিকার উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে।
এদিকে ১৫ বছর বয়সি নাবালিকার অস্বাভাবিকভাবে পেট ফুলতে দেখে স্থানীয় মহিলাদের সন্দেহ হয়। এরপর তাঁরাই ওই নাবালিকাকে হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর জন্য নিয়ে যান। তাতেই ধরা পড়ে ওই নাবালিকা প্রায় চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপরই ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হয়। আর তা জানাজানি হতেই অভিযুক্ত তিনজন মিলে নাবালিকার বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্ত তিন বৃদ্ধকে আটক করেছে। জানা গিয়েছে, রবিবার নাবালিকার পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা করতে মেখলিগঞ্জ থানায় গিয়েছে। মেখলিগঞ্জ থানার ওসি মনিভূষণ সরকার বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরই আমরা অভিযুক্তদের আটক করেছি। লিখিত অভিযোগ জমা করলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’